সন্ধ্যা নামলেই তৃণমূলের পার্টি অফিসে শুরু হয় মেয়ে নিয়ে আড্ডা। বসে মদ, জুয়ার আসর। খড়গপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লির তৃণমূলের পার্টি অফিসের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দলের কাউন্সিলার কল্যাণী ঘোষ। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলছেন, ওই কাউন্সিলার একাই সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান, তাই মিথ্যে অভিযোগ করছেন।
তবে নিজের বক্তব্যে অনড় তৃণমূল কাউন্সিলার কল্যাণী। পাড়ার লোকেরাই তাঁকে এই বিষয়ে জানিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বছর দেড়েক হল সুভাষপল্লিতে যুব তৃণমূল একটা দলীয় কার্যালয় খুলেছে। নামেই পার্টি অফিস। কিন্তু এর মধ্যে যত রকমের অসামাজিক কাজকর্ম রয়েছে, সবই চলে। নোংরামো চরমে উঠেছে এখানে। মেয়েদের নিয়ে বসে আড্ডা থেকে শুরু করে মদ, জুয়া সমস্ত কিছুই চলে’।
এরপর কল্যাণী বলেন, ‘আমাকে এলাকার লোকজন বলেন, ‘আপনি এখানে এসে নিয়মিত বসুন। তা হলে এগুলো কমবে’। সেই জন্য আমি ওখানে গিয়েছিলাম শুক্রবার। তৃণমূল কার্যালয় বলে একটি ব্যানারও লাগাই। এরপরই রাতে ব্যানারটা ছিঁড়ে ফেলা হয়’। ব্যানার ছেঁড়ার পাশাপাশি খড়গপুরের শহর সভাপতি দীপেন্দু পাল তাঁকে হুমকি দেন বলেও দাবি কাউন্সিলরের।
যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীপেন্দু পাল বলেন, ‘উনি আসলে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছেন। উনি যখন তৃণমূলে যোগ দেননি তার অনেক আগে থেকে যুবরা এই কার্যালয়টা চালায়। কাউন্সিলর বলছেন, দলীয় কার্যালয়ে অসামাজিক কাজ হয়। এ কথার কোনও বাস্তব ভিত্তিই নেই’।