এবারে চুলে রং করাকে ঘিরে বিবাদে সূত্রপাত হল, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের এক কর্মী চুলে রং করেছিল। তার চুলের ছাঁট ও রং দেখে পাড়ার কয়েকজন ব্যক্তি তাকে দেখে কটুক্তি করেছিল। সেই থেকেই বিবাদের সূত্রপাত হয়। এরপর সেই বিবাদ থেকে হাতাহাতির সূত্রপাত হয়। তারপর এই ঘটনাকে সামনে রেখে তৃণমূলের দুই শিবির নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে, ডোমজুড়ের সলপ এক নম্বর পঞ্চায়েতের ডাঁশি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এই হাতাহাতির কারণে জখম হয়েছেন তিনজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। এই ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মেহেরান বেগম অভিযোগের আঙুল তোলেন কল্যাণ ঘোষের দিকে। কল্যাণ ঘোষ হলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা হাওড়া সদরের সভাপতি। ঘটনাকে ঘিরে মেহেরান বেগম জানিয়েছেন, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের অনুগামীরা কোন অশান্তির সুযোগ পেলেই হামলা চালায়। এই ঘটনায় দেওর ও ছেলের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মেহেরান।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মেহেরান জানিয়েছেন, ”আমি তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হিসাবে যোগদান করেছি প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় থেকে। কিন্তু যেদিন থেকে কল্যাণ ঘোষ এলাকার বিধায়ক হয়েছেন সেদিন থেকে আমাদের ওপরই তার অনুগামীরা হামলা চালানো শুরু করে।” অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ জানিয়েছেন যে, এটি একটি পারিবারিক বিষয়। পারিবারিক অশান্তি। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোন সম্পর্কই নেই।
2022-04-29