চিটফান্ডের মতো রাজ্যে নয়া কেলেঙ্কারির ইঙ্গিত দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেটা হল লটারি স্ক্যাম। সম্প্রতি ডিয়ার লটারি নিয়ে তুমুল শোরগোল চলছে বাংলায়। এই লটারিতে ফার্স্ট প্রাইজ জিতেছেন অনুব্রত মণ্ডলও। এটাকেই স্ক্যাম বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু।
এদিন নন্দীগ্রামে দলের এক কর্মসূচিতে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, ‘স্টেট লটারি বন্ধ করা হয়েছে। যেখান থেকে একটা বড় কর রাজ্য সরকার পেত। সেই জায়গায় ডিয়ার লটারি-কে বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমদানি করা হয়েছে। এটা দক্ষিণ ভারতীয় একটি কোম্পানি। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের পরামর্শদাতারা একে আমদানি করেছে। এর জন্য ২০০ কোটি টাকা তৃণমূল কংগ্রেস নিয়েছে’।
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘নাগাল্যান্ড, সিকিম-এর ঘটনা প্রমাণ করেছে চিটফান্ডের মত এটিও একটি দুর্নীতি। পশ্চিমবঙ্গের লোককে অনুরোধ করব দয়া করে এই ফাঁদে পা দেবেন না। অনুব্রত মণ্ডল লটারিতে ফার্স্ট প্রাইজ পায় কী করে? এটি আরেকটি চিটফান্ডের মত স্ক্যাম। যারা পুরস্কার পাচ্ছে পুরো তৃণমূল থেকে লিস্ট করে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে আবারও একবার সারদা-রোজভ্যালির মত মানুষকে সর্বশান্ত করার ফাঁদ পেতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ বাংলার মানুষকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে সাবধান করছি, আর এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরকে বলছি নাগাল্যান্ড, সিকিম-এর মতো এখানেও তদন্ত হওয়া দরকার’।
পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশের ওষুধ বিলিকে ‘লজ্জা’ বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘এ লজ্জা রাখার কোনও জায়গা নেই। গোটা পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ করেছে। বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের খুনি মাজেদ পার্ক সার্কাসে থাকে ১৫ বছর। বারুইপুরে লাল্টু শেখ, আব্দুল মান্নানকে পাওয়া যায়। জামাতের লোকেদের পুরো কোস্টাল বেল্ট দিয়ে প্রতিদিন ঢোকাচ্ছে। রাজ্যকে এই জায়গায় নিয়ে গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার’।