“আরোগ্য ভারতী” এর প্রশিক্ষণ বর্গ

গত 30 ও 31 শে জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের কলকাতা মহানগরের আরোগ্য ভারতীর কার্যক্রম “আরোগ্য মিত্র প্রশিক্ষণ বর্গ” অনুষ্ঠিত হল। এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন আরোগ্য ভারতীয় সভাপতি ডঃ অভিজিৎ ঘোষ (অধ্যাপক, সিউল ইউনিভার্সিটি, দক্ষিণ কোরিয়ার) এবং সম্পাদক ডা: আশীষ ব্যানার্জি, পূর্ব ক্ষেত্র সংগঠন সম্পাদক শ্রী বুদ্ধদেব মন্ডল ও পূর্ব ক্ষেত্র সংগঠন সহ সম্পাদক রাজেশ কর্মকার । এছাড়াও 80 জন শিক্ষার্থী ও 22 জন হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক এবং এলোপ্যাথিক ডাক্তার-রা উপস্থিত ছিলেন। কলকাতার বিশিষ্ট যোগ প্রতিষ্ঠান “বিবেকানন্দ যোগ অনুসন্ধান সংস্থা” তে কার্যক্রমটি অনুষ্ঠিত হল।
সামাজিক সংগঠন এই আরোগ্য ভারতী 2004 সাল থেকে সমগ্র ভারতবর্ষের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতি ও সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্য নিয়ে পথচলা শুরু করে। প্রাচীন ভারতীয় পরম্পরা তথা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে স্বাস্থ্য রক্ষা সংক্রান্ত ছড়ানো মুক্ত সংগ্রহ করে মালা গেঁথে প্রতিটি ভারতবাসীর হাতে পৌঁছে দেওয়া আরোগ্য ভারতের কাজ। এই কাজে ব্রতী আরোগ্য ভারতীর প্রতিটি কর্মকর্তা একজন দক্ষ মালাকার।
“ধর্মার্থকামমোক্ষণাং আরোগ্যম্ মূলমুত্তমম্ “ – এই আদর্শ সামনে রেখে “স্বস্থস্য স্বাস্থ্যসংরক্ষণম আতুরস্য রোগ প্রশমনম্”- এই লক্ষ্য পূরণে ব্যক্তি থেকে সমষ্টি ও গ্রাম-শহর নির্বিশেষে আরোগ্য ভারতী কর্মরত। স্বস্থ, ব্যাক্তি, স্বস্থ পরিবার, স্বস্থ গ্রাম, স্বস্থ রাষ্ট্র -এই ক্রমানুসারে আরোগ্য ভারতীর গতিবিধি ভারতে প্রচলিত সকল প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং চিকিৎসকগণের নৈতিকতার উচ্চতম স্তরে উন্নয়ন ও আর্তের প্রতি সেবাভাবের জাগরণ হোক – এটাই আরোগ্য ভারতী প্রার্থনা।

আরোগ্য ভারতীর এই কর্মবিস্তারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যাদের তাঁরা হলেন আরোগ্য মিত্র। হিংসার উন্মুক্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অভাব মিত্রতার। মানুষ নিজের মনের কথা পরম বিশ্বাসে বলার মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না। সবাই কর্মব্যস্ত। তাই কার্যকর্তাদের প্রথম কাজ মিত্র হয়ে ওঠা। এই আরোগ্য মিত্র প্রশিক্ষণ বর্গে যোগ, আয়ুর্বেদ, প্রাথমিক চিকিৎসা, ঘরোয়া উপাচার, হোমিওপ্যাথি ও সুস্থ জীবনশৈলীর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়। আরোগ্য মিত্র, যারা সর্বোপরি সেভাবে উদ্বুদ্ধ। আরোগ্য মিত্রগণ পরবর্তীকালে মাসিক মিলনের মাধ্যমে নিজেদেরকে দক্ষ ও সমৃদ্ধ করে তোলেন এবং গ্রামে গ্রামে সভা-সমিতি শিবির আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিটি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যসচেতন করে তোলার দায়িত্ব নিজ কাঁধে বহন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.