রেলে গতি আনতে বদ্ধপরিকর মোদী সরকার। এবার ট্রেন-১৮ টেনের পর আসছে ট্রেন-১৯। ট্রেন-১৮ র চেয়েও উন্নত হতে চলেছে এই ট্রেন। দ্বিতীয়বার দিল্লির মসনদে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সমতায় ফেরার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় রাজনীতিতে। দেশবাসীর সঙ্গে রাজনৈতিক মহল মনে করছে মোদীর এই দ্বিতীয় দফার শাসন কালে বেশ কিছু চমক অপেক্ষা করছে দেশবাসীর জন্য। আর সেই চমক আসতে পারে ভারতীয় রেলের হাত ধরেই। ট্রেন-১৮ অর্থাৎ বন্দে এক্সপ্রেস ইতিমধ্যে দেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই জনপ্রিয়তার কথাই মাথায় রেখেই ভারতীয় রেল আবারও বড় চমক দিতে চলেছে। চলতি বছরের মধ্যেই ভারতীয় ট্রাকের ছুড়তে ছুড়তে চলেছে সেমি হাই স্পিড ট্রেন-১৯।
বলা হচ্ছে ভারতের প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন বন্দে এক্সপ্রেসের আরো আধুনিক রূপ হবে এই ট্রেন-১৯। অল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য দেশের প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন-১৮ তৈরি করা হয়েছে। এই ট্রেনটি সম্পূর্ণই চেয়ার কার। কিন্তু ট্রেন-১৯ যুক্ত হতে চলেছে স্লিপার ক্লাস। মূলত আরো দ্রুত বেশি দূরত্ব রেলপথ অতিক্রম করতে পারবে এই ট্রেনে চেপে সাধারণ যাত্রীরা। এই ট্রেনে শুধু স্লিপার ক্লাস নয় চেয়ার কারেরও ব্যবস্থা থাকবে। তবে কোন কোন রুটে চলবে ট্রেন-১৯ তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের কোন রুটে দেশের এই দ্বিতীয় সেমি হাই স্পিড ট্রেন চলবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
জানা গেছে ইতিমধ্যেই ট্রেন-১৯এর রেক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরীকে। প্রায় ৪০টি ট্রেনের রেক তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ট্রেন গুলির রেক তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
শতাবদি এক্সপ্রেস এর বিকল্প হিসেবে ট্রেন-১৮ কিংবা বন্দে এক্সপ্রেস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল মন্ত্রক। দিল্লি থেকে বেনারস রুটে এই ট্রেনটি চলে। ঘন্টায় ১৬০ কিমি বেগে ছুটতে সক্ষম ভারতের এই প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন। মাত্র ৮ ঘণ্টা সময় সীমার মধ্যে নয়াদিল্লি থেকে বারানসি চলাচল করছে ট্রেনটি। দ্বিতীয় মোদী সরকারের আগামী ৬ মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দুটো রুট সহ সারা দেশের আরো বেশ কয়েকটি রেলপথে বন্দে এক্সপ্রেস চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এগুলি সবকটি ট্রেন তুলনামূলক অল্প দূরত্বের জন্য। ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে যে সমস্ত রুটে যাতায়াত করা যাবে সেই সব রুটে চলবে বাষন্দে এক্সপ্রেস। কারণ চেয়ার কারে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার বেশি দূরত্ব অতিক্রম করা যাত্রীদের পক্ষে অসুবিধাজনক হবে।
আর সেই কারণেই স্লিপার ক্লাস যুক্ত করে সেমি হাই স্পিড ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুরোপুরি যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হবে ট্রেন-১৯।
ট্রেন-১৯ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে চলার ক্ষমতা রাখবে। এটিও হবে সম্পূর্ণ ইঞ্জিনবিহীন। ট্রেনটি সামনে ও পিছনে দুই দিকেই মুভ করতে সক্ষম। কোনরকম ঝাকুনি ছাড়াই দ্রুত স্পিড বাড়াতূ ও কমাতে পারবে ট্রেন-১৯। ট্রেনে থাকবে স্বয়ংক্রিয় দরজা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ।