রিও অলিম্পিক থেকে ভারতকে রুপো এনে দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে নিয়ে দেশবাসীর আশার অন্ত নেই। পাহাড় প্রমাণ সেই প্রত্যাশার চাপ নিয়েও টোকিওয় শুরুটা ভালই করলেন পিভি সিন্ধু। মহিলা সিঙ্গলসের প্রথম রাউন্ডে এল কাঙ্খিত জয়। কিন্তু ভারতীয় শাটলারের জয়ের দিন মুখ থুবড়ে পড়লেন সানিয়া মির্জা। যার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।
রবিবার মুসাশিনো ফরেস্ট প্লাজার ২ নম্বর কোর্টে ইজরায়েলের প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিলেন সিন্ধু। কে পলিকার্পোভার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই দাপট দেখাচ্ছিলেন তিনি। গ্রুপ জে-র প্রথম ম্যাচ সিন্ধু জিতে নেন ২১-৭, ২১-১০ ব্যবধানে। মাত্র ২৮ মিনিটেই শেষ হয় লড়াই। অলিম্পিকের ষষ্ঠ বাছাই সিন্ধুর আত্মবিশ্বাসের কাছেই যেন হার মানল প্রতিপক্ষ।
কিন্তু সিন্ধুর শুভ সূচনার দিন চূড়ান্ত ব্যর্থ আরেক ভারতীয় তারকা সানিয়া মির্জা। মহিলা ডাবলসে নিজেদের ম্যাচেই ইউক্রেনের জুটির কাছে পরাস্ত হলেন সানিয়া ও তাঁর পার্টনাম অঙ্কিতা। কিচেনক বোনেরা প্রথম সেট হারে একেবারে ৬-০-য়। তখনই যেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগতে শুরু করে দেন সানিয়ারা। আর সেই সুযোগেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় উইক্রেন জুটি। পরের দুটি সেট তাঁরা জেতেন ৭-৬, ১০-৮ ব্যবধানে। ফলে মহিলা ডাবলসের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গিয়ে পদক জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হল সানিয়া-অঙ্কিতার।
গ্র্য়ান্ড স্লামের পর অলিম্পিকের মঞ্চেও সানিয়ার ব্যর্থতার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। তুমুল কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে সানিয়াকে। অনেকে লিখেছেন, অলিম্পিকে রোহন বোপান্না খেলতে পারবেন কি না, সে নিয়ে না ভেবে মহিলা ডাবলস নিয়ে ভাবলে বেশি ভাল হত। অনেকের আবার দাবি, এই বয়সে সানিয়াকে অলিম্পিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত একেবারেই ভুল। যদিও নেটিজেনদের একাংশ সানিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে রেকর্ড গড়ে সাঁতারে পদক জিতলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা। ৩ মিনিট ২৯.৬৯ সেকেন্ডে ৪X১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল রিলে শেষ করে রেকর্ড গড়লেন মহিলা সাঁতারুরা। আর সেই সৌজন্যেই জিতলেন সোনার পদক।