আজ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী র মৃত্যু বার্ষিকী ………………..
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া সত্ত্বেও গোটা বাংলাকেই ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ও তার স্বনিয়োজিত পুরোধা জওহরলাল নেহরু অনায়াসে এবং সানন্দে জিন্নাহ্’র ইসলামিক পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন। সমস্ত বাঙালীকে, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে, ভারতছাড়া করতে চেয়েছিলেন।
আর আজ প্রায়বিস্মৃত শ্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রচুর আলোচনা ও কূটনৈতিক তর্কবিতর্কের মধ্য দিয়ে কলকাতাসহ বাংলার এই অংশকে, যা কিনা আজ ‘পশ্চিমবঙ্গ’ নামে পরিচিত, ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে রাখতে সমর্থ হন।
বাঙালী হিন্দুরা একটি ইসলামিক রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিল। তাঁদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি অবলুপ্তির হাত থেকে বেঁচেছিল। দেশবিভাগের পর হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে পাকিস্তানে বাঙালীদের কিভাবে নির্বিচার গণহত্যা হয়েছিল, সে তো আজ ইতিহাস। সেই পরিণতির দিকে পুরো অবিভক্ত বাংলাকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল কংগ্রেস এবং জওহরলাল।
আমরা বেঁচেছিলাম ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের চেষ্টায়, কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ নিজে বাঁচেন নি। আজ যে কাশ্মীর সমস্যা তার কেন্দ্রবিন্দু ধারা 370,! শ্যামা প্রসাদ তার বিরোধ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন কাশ্মীর এ ! জেল এ তাকে রহস্য জনক ভাবে হত্যা করা হয় ! …………….
তাই আজ প্রণাম জানাই এই মহান যোদ্ধা কে উনি যদি ক্ষমতার লোভী হতেন তাহলে শিল্প মন্ত্রী র পদ থেকে পদত্যাগ করতেন না ! উনি ভবিষ্য্যত দেখতে পেয়েছিলেন তাই ধারা 370 এর বিরোধিতা করতে গিয়ে হত্যা হন !
দেশের জন্য বলীদান দেওয়া মানুষটিকে আজ প্রত্যেক বাঙালী ভুলতে বসেছে ………….