এবার রিটেল পেমেন্টের দুইনিয়ায় থাবা বসাতে চলেছে রিলায়েন্স জিও। এতদিন এই জায়গায় পেটিএম, ফোনপে এর মতো কোম্পানিগুলি রমরমা ছিল। গুগল পে নিজের ঘাঁটি শক্ত করার কাজ শুরু করেছে। এবার পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) টার্মিনালে নিজেদের জমি শক্ত করার কাজ শুরু করল জিও। পিওএস টার্মিনালে (যেখানে কার্ড সোয়াইপ করা হয়) নিজেদের উপস্থিতি জোরদার করে জিও ইকোসিস্টেম আরও মজবুত করার চেষ্টা করছে মুকেশ আম্বানির কোম্পানি।
এতদিন কিউ আর কোড স্ক্যান করে রিটেলারদের কাছে পেমেন্ট করা যেত। কিন্তু বহু বছর ধরে এই পদ্ধতি চালু থাকলেও এখনও সেইভাবে সফল হয়নি এই পদ্ধতি। ভারতে রিটেল বাজারে ৭১০ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের ব্যবহার হয়। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ অসংগঠিত। গোটা দেশের প্রায় ১.৫ কোটি রিটেল দোকানে এই লেনদেন হয়। এই মুহুর্তে এই ১.৫ কোটি দোকানদারের ১৫ শতাংশ পিওএস মেশিন কেনার ক্ষমতা রাখেন।
কোম্পানির পিওএস সেক্টারে প্রবেশ প্রসঙ্গে প্রতশ্ন করা হলেও জিওর তরফ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। ইতিমদ্ধ্যেই মাই জিও অ্যাপ আর জিও পিওএস টার্মিনাল দোকানদারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিজেদের টেলিকম নেটওয়ার্কে প্রায় ৩০ কোটি গ্রাহক রয়েছে মুম্বাইয়ের কোম্পানিটির। একগুচ্ছ অফার নিয়ে এসেছে গ্রাহককে এই ধরনের পেমেন্টে অনুপ্রানিত করতে পারে মুকেশ আম্বানির কোম্পানি।
তবে শুধুমাত্র গ্রাহক কয় সাপ্লাই সাইডেও এই ব্যবস্থা নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে মুম্বাই এর কোম্পানিটির। মার্চেন্ট হোলসেলারের কাছ থেকে জিনিস কিনে ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমেই তা গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
এতদিন এই জায়গায় পেটিএম, ফোনপে এর মতো কোম্পানিগুলি রমরমা ছিল। গুগল পে নিজের ঘাঁটি শক্ত করার কাজ শুরু করেছে। তবে জিও পিওএস টার্মিনালের মাধ্যমে গ্রাহককে বিভিন্ন অফারের সুবিধা দেওয়া হবে যা অন্যান্য সার্ভিসে পাওয়া যাবে না। তবে এই অফারের বিস্তারিত এই সার্ভিস লঞ্চ হলে জানা যাবে।