বিরোধীদের বিরোধিতা, হইচইয়ের মধ্যেই লোকসভায় পেশ হল নতুন তিন তালাক বিল। আগের সরকারের আনা বিলটি রাজ্যসভায় আটকে গিয়েছিল। আর ষষ্ঠদশ লোকসভা ভেঙে যাওয়ার কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। তাই সেই বিলটি আবার পেশ করা হলো শুক্রবার লোকসভায়। এটিকে পক্ষপাতদুষ্ট বিল বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। কিন্তু সরকারের তরফে বলা হয়েছে এই
বিলটি আসলে সরকারের “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ,সবকা বিশ্বাস” দর্শনের অংশ। এই বিলটি মেয়েদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে বাঁচাবে। তাদের সমানাধিকার দেবে।
গত ফেব্রুয়ারীতে সরকারের তরফে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে এই বিলটি পাস করানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রাজ্যসভায় তা পাস করানো যায়নি। কারণ রাজ্যসভায় বিরোধীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিরোধীরা চেয়েছিলেন বিলটি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি তৈরি করে তার কাছে পাঠানো হোক। তবে সরকার সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছিল।
সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনেই পেশ করা তিন তালাক বিল। যা সেই অর্ডিন্যান্সের প্রতিরূপ।
গত ডিসেম্বর মাসে লোকসভায় বিলটি পাস হয়েছিল। সেই বিলে বলা হয়েছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে তালাক শব্দটি উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদ দিলে তার তিন বছরের কারাদণ্ড হবে।
শুক্রবার তিন তালাক বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হলে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন,সরকারের উচিত এটি একটি অভিন্ন আইনে প্রণয়ন করা। তা যেন শুধু কোনভাবেই মুসলিমদের লক্ষ্য করে না হয়। অন্য ধর্মের মানুষও তাদের স্ত্রীদের পরিত্যাগ করে। এই বিলে কোন পদ্ধতিগত সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। কোন স্থায়ী কমিটির কাছে বিলটিকে পাঠানো উচিত বলে মনে করেন তারা। এটা পক্ষপাতমূলক বিল।
অন্যদিকে এন ডি এর অন্যতম শরিক নীতীশ কুমারের দল জানিয়ে দিয়েছে তারা তিন তালাক বিলকে সমর্থন করবে না। ওয়াই এস আর ও বিজু জনতা দলও এই বিলটিকে সমর্থন করবে না।
বিরোধীদের পাল্টা জবাবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিলটি মেয়েদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে বাঁচাবে। দেবে তাদের সমানাধিকার। প্রস্তাবিত আইন লিঙ্গ সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে। এই বিল আসলে সরকারের সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবটা বিশ্বাস দর্শনের অংশ।