পশ্চিমী ও আরব সংস্কৃতির সংঘাতে আজ দিশেহারা ব্রিটেন। ওই ইউরোপীয় দেশের ঐতিহ্যবাহী বিল্ডিং ও ভদ্র আদব কায়দা দেখলে মনে হবে বহাল তবিয়তে আছে শেক্সপীয়ার এবং ওর্য়াডসওয়ার্থের দেশ, কিন্তু ভুল ভাঙবে ব্রিটেনজুড়ে নো-গো জোনগুলোর দিকে তাকালে।
৫% মুসলিম জনসংখ্যা আর তাতেই কেঁপে যাচ্ছে গোটা ব্রিটেন
লন্ডন(London) , ম্যানচেস্টার(Msnchester) , লিভারপুল(Liverpool) থেকে শুরু করে ব্রিটেন প্রায় সব শহরেই মিটিং মিছিল করছে ব্রিটিশ পাসপোর্ট অধিকারী মুসলিমরা। তারা শরীয়ত আইন চায়। তালিবানদের বিজয়ে ব্রিটেনে যে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে তার অন্যতম মাথা কিন্তু কে হাসান (K Hasan) নামে এক মুসলিম মহিলা।
তিনি আবার লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলার London University scholar)।
হাসান মুসলিম মহিলাদের অধিকার নিয়ে গর্বের সাথে বলছেন , ” তালিবান এর জয় ইসলামের জয় ও পশ্চিমী দেশ তথা কাফেরদের পরাজয়। যেই সব মেয়েরা বলছেন তাদের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়েছে বা হচ্ছে তালিবান জমানায় ,তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা কি সত্যিই মুসলিম ? তালিবানরা ভুল কি করছে ? তারা তো ইসলামকে মানছে , শরীয়তকে মানছে । মুসলিম হয়ে শরীয়ত না মানা যে কতখানি অপরাধ তারা কি জানেননা ? মুসলিম মেয়েরা শরীয়তের মধ্যে যেটুকু স্বাধীনতা পাচ্ছেন , আল্লার ফজলে তাই অনেক।”
এদিকে এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা ব্রিটেন জুড়ে
বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী ব্রিটিশ পার্টি ও সংগঠন ( যেমন ব্রিটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (British Nationalist Party) ও ব্রিটেন ফার্স্ট ( Britain First ) ও ব্রিটিশ ডিফেন্স লীগ (British Defence League) ইতিমধ্যেই কাউন্টার মিটিং মিছিল করছে ব্রিটেনে ও সংগ্রহ করছে জনমত।
তাদের দাবি আর কোনো ভাবেই মুসলিম শরণার্থী নেওয়া যাবেনা ব্রিটেনে আর অবিলম্বে শরণার্থীদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করতে হবে কারণ তারা ব্রিটেন এর সেক্যুলার ও গণতান্ত্রিক পরিবেশকে কলুষিত করছে।
তাদের আরো বক্তব্য যে মুসলিম শরণার্থীরা ব্রিটেনের পাসপোর্ট নিয়ে দেশের সবপ্রকার সুবিধে নিয়ে নিজেদের সভ্য করে গড়ে তুলতে পারেনি, দেশের খেয়ে দেশের পড়ে, দেশেরই সর্বনাশ করছে।
সরকার ও দুই গোয়েন্দা সংস্থা , এম আই 6(MI 6) ও এম আই 5 (MI 5) সন্ত্রাস , বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জিহাদি শক্তি দমন করার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন।