হুমকি, টিকা ও নাগরিক ভূমিকা

পৃথিবীতে প্রায় একশো আটটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র কয়েকটি বিশ্ববাজারে চলছে, অথচ কোনটাই কিন্তু সার্বিকভাবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়নি। FDA অথবা WHO এর ওয়েবসাইটে গেলে আপনারা জানতে পারবেন যে এগুলো সবই authorised for emergency use only. প্রসঙ্গত বলে রাখি, ট্রায়াল করার সময় যেমন কিছু ভলান্টিয়ারদের আহ্বান করা হয় এবং কিছু মানুষ ভলেন্টারিলি ট্রায়ালে নিজেদের সঁপে দেওয়ার জন্য রাজি হন, সেটাকেই বলা হয় এমার্জেন্সি পার্পাস। এমনিতে একটা ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ authorization পেতে অন্তত দুবছর সময় লাগে। অনেকগুলো ট্রায়ালের phase-এর মধ্যে দিয়ে গিয়ে শেষে হিউম্যান ট্রায়াল হয়। হিউম্যান ট্রায়াল করা মানে কয়েকজনকে ভ্যাকসিন দিয়েই শেষ হয়ে যায় না, তাকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। বিভিন্ন ধরনের মানুষকে, বিভিন্ন পরিবেশ ও আবহাওয়ার মানুষকে, বিভিন্ন অর্থনৈতিক অবস্থাসম্পন্ন মানুষকে অনেক সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে নমুনা ধরে ধরে যখন নিরাপদ মনে হয় তখন FDA সেটাকে অ্যাপ্রুভ করে। সেই approval আসতে হয়তো 2023 সাল হবে। তার আগে পর্যন্ত একমাত্র জরুরীভিত্তিক প্রয়োজনে এই ভ্যাকসিনগুলোকে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখন দেশে বিদেশে যেখানে যত ভ্যাকসিন প্রয়োগ হচ্ছে সেগুলো সবই ট্রায়াল পর্বে আছে এবং যারা ফার্স্ট ডোজ বা সেকেন্ড ডোজ নিচ্ছেন তারা অবজারভেশনের মধ্যে আছেন।

বিজ্ঞানীদের কোন ধারণা নেই যে আসলে কী হবে, তারা শুধু কিছু অনুমান করছেন। জেনেটিক্যালি engineered ভ্যাকসিনের সাথে এভাবে কৃত্রিম ধরনের তৈরি করা স্পাইক প্রোটিনে মানুষের শরীর শেষ পর্যন্ত কীভাবে প্রতিক্রিয়া করবে সেটা পুরোপুরি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষ বিষয়। এই অল্প সময়ের মধ্যেই যেটুকু বোঝা যাচ্ছে সেটা রীতিমত ভয়ঙ্কর এবং এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ও মৃত্যুর ঘটনাগুলোকে যতটা সম্ভব ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এটা সবার জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাও জেনে রাখা ভালো যে এই কোভিশিল্ড, যেটা বিদেশে এস্ট্রাজেনেকা নামে পরিচিত, এটাকে ইউরোপের অন্তত ষোলটা দেশে আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে অন্যান্য ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলোও যথেষ্ট ক্ষতিকারক। কোভিশিল্ডকে বর্জন করার কারণ তার ভয়ঙ্কর সাইডএফেক্ট এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার। এটা থেকে ব্লাড ক্লটিং এবং ভ্যাসকুলার ডিজিজ হচ্ছে। বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হচ্ছে এবং প্যারালাইসিস হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত তথ্যই পাবলিক ডোমেইনে আছে।

অতএব যাঁরা মনে করছেন ভ্যাকসিন নিলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, ভ্যাকসিন নিলেই তাঁরা নিরাপদ ও অমর হয়ে যাবেন, এরপর তাঁদের আর কোন সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে না, তাঁদের এই তথ্যগুলো জানা দরকার। আর যাঁরা দোদুল্যমান অবস্থায় আছেন তাঁরা নিজেরা বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। কাগজে, টেলিভিশনে বা মেনস্ট্রিম মিডিয়াতে যা কিছু শুনছেন সেগুলো শুনুন, তার সাথে সাথে নিজেরাও একটু দেখুন। এমনকি নিজের শরীরটাকেও দেখুন। ‘আমার কি সত্যিই অসুস্থ লাগছে? সত্যিই কি এর জন্য কিছু নেওয়ার আছে? আমি কি প্রকৃতির ওপর বিশ্বাস করিনা? সূর্য আলো বাতাস জল মাটি জীবন সম্পর্ক মুড মেজাজ — এগুলো সবই কি মিথ্যা হয়ে গেল? শুধু কয়েকটা বিপজ্জনক দাহ্য রসায়নই কি আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে? এই প্রশ্নটা নিজেকে করুন। তারপরে যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা দৃঢ়ভাবে নিন। যদি নেবেন না বলে ঠিক করেন তাহলে জানবেন আপনি সংখ্যালঘুর দলে পড়ে গেলেন। চারপাশের বেশিরভাগ মানুষ যখন নিচ্ছে তখন কেউ একজন যখন নেবে না বলে ঠিক করছে তখন সে প্রতিবেশী, সহকর্মী, এমনকি বাড়ির মধ্যেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে, সমালোচনার পাত্র হয়ে যেতে পারে। এর জন্যও মনে মনে প্রস্তুত থাকুন, কারণ এটা কিছু শক্তিশালী মানুষের তৈরি করা মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই। আমার কথা সবসময় মেনে নিতে হবে সেটা বলছি না। শুধু এটুকুই বলছি যে অপরের চাপিয়ে দেওয়া বুদ্ধির দ্বারা নিজেকে পরিচালিত না করে নিজেদের বুদ্ধি, গবেষণা, পড়াশোনা, পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত নিন।

টিকাকরণ নিয়ে চারদিকে এক ধরনের প্রশাসনিক জুলুম চলছে। আমাদের কাছে খবর আসছে — স্কুলে সার্কুলার চলে এসেছে বা প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ এসে গেছে, যেখানে বলা হচ্ছে যে টিকাকরণ বাধ্যতামূলক এবং টিকা নিলে তবেই তারা কাজ করতে পারবেন বা শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্লাস নিতে পারবেন। সিনে গিল্ডের আর্টিস্টদের ওপরেও নোটিশ এসে গেছে — লকডাউনের পর কাজে যুক্ত হতে গেলে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। পশ্চিমবঙ্গের বাইরের বেশ কিছু রাজ্যে যে সকল গ্রামবাসীরা টিকা নেবে না বলে ঠিক করছে সেই সকল গ্রামে ইলেকট্রিসিটি কেটে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে, অনেক জায়গাতে রেশন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আবার কোন কোন ব্যাঙ্ক দুটো ডোজের টিকা নিয়ে থাকা ব্যক্তিদের ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এভাবে এমন এক আবহ তৈরি করা হচ্ছে যাতে মানুষ টিকা নিতে বাধ্য হয়। এই সবকিছুর পেছনে মানবিকতার তেমন কোনো ছাপ দেখা যাচ্ছে না বরং মানুষকে সুস্থ রাখার কারণ দেখিয়ে বা বাঁচিয়ে রাখার নাম করে এক ধরনের জুলুমবাজি চোখে পড়ছে।

অনেক জায়গাতে আমরা দেখছি, একটি গ্রামে ঘরে ঘরে টিকা দেওয়ার জন্য যখন স্বাস্থ্যকর্মীরা আসছেন, সঙ্গে দুটো পুলিশের জিপ আসছে। মানুষের সংক্রমণ আটকাতে, মানুষের ভালো করতে, সঙ্গে করে পুলিশ আনতে হচ্ছে? এরকম তো দেখা যায় না। মানুষকে কম্বল বিতরণ করা হবে বলে অথবা বিনা পয়সায় চোখের‌ ছানি অপারেশন করা হবে বলে সেখানে কি পাঁচটা পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে? সুতরাং এই জুলুমবাজি বেশ অদ্ভুত লাগছে। যাঁরা স্বেচ্ছায় টিকা নিচ্ছেন সেখানে কোনো অসুবিধা নেই কিন্তু যাঁরা নিতে চাইছেন না তাঁদেরকে অবহিত করার জন্য বলে রাখি, টিকাকরণ বাধ্যতামূলক নয়। সৌদি আরবের মত দু-একটা দেশ ছাড়া কোন দেশই টিকাকরণকে বাধ্যতামূলক করেনি। আপনারা যদি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে (Ministry of Health and Family Welfare) যান, তাহলে দেখবেন সেখানে পরিষ্কার বলা আছে যে ভ্যাক্সিনেশন ম্যান্ডেটরি নয়; অর্থাৎ আপনি চাইলে টিকা নাও নিতে পারেন। যদিও এটা বলা আছে যে টিকা নিলে ভালো, আপনার পক্ষে এবং আপনার প্রিয়জনদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার পক্ষে ভালো। সেটা আলাদা কথা।

আপনারা যদি কোভিসিল্ড বন্টনকারী Serum Institute of India-র ওয়েবসাইটে যান তাহলে সেখানে Covishield Fact Sheet এর দু পাতার একটি পিডিএফ দেখতে পাবেন, সেখানে এই টিকার সম্পর্কে কিছু ডিটেইলস দেওয়া আছে। তাতে এই ভ্যাকসিনের মধ্যেকার কিছু কিছু উপকরণ দেওয়া আছে (যদিও সবকটা দেওয়া নেই), এবং তার সম্ভাব্য সাইড এফেক্টের কথাও বলা আছে। এর সাথে পরিষ্কার উল্লেখ করা আছে “It is your choice to receive or not receive the COVISHIELD Vaccine.” অর্থাৎ চাইলে আপনি ভ্যাকসিন নাও নিতে পারেন। এর সাথে এটাও বলা হচ্ছে, যাদের এলার্জি আছে অথবা যারা রক্ত তরল করার ওষুধ খান তারা কোভিসিল্ড ভ্যাক্সিন নেওয়ার আগে যেন অবশ্যই ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করে নেন। এছাড়াও যাদের অন্যান্য ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে যেমন হৃদরোগের সমস্যা, রক্তচাপের সমস্যা, তারাও ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ না করে যাতে ভ্যাকসিন না নেন, সেটাও বলা আছে। অতএব ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করার ব্যাপারটাকেও মাথায় রাখতে হবে। এছাড়া ডাক্তাররা ভ্যাকসিন নিতে পরামর্শ দেওয়ার সময় প্রেসক্রিপশনে যেন সেটা (Vaccination suggested / prescribed) উল্লেখ করে দেন, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে, কারণ তবেই তাঁর দায়বদ্ধতা থাকবে।

অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে যে ভ্যাক্সিনেশনের এই মহৎ প্রয়াসকে, যেটাকে রূপায়িত করতে সরকারকে অনেক টাকা খরচ করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনামূল্যে বিলি করতে হচ্ছে, সেই অমৃততুল্য অমরত্বপ্রদানকারী দানকে কেন সরকার বাধ্যতামূলক করছে না? পুলিশ, প্রশাসনকে দিয়ে ঘুরিয়ে ব্ল্যাকমেল করিয়ে মানুষকে নিতে বাধ্য না করিয়ে সরকার তো বাধ্যতামূলক করে দিতে পারতো। কিন্তু করল না কেন? কারণ টিকা নিয়ে যদি আমাদের কোনো গুরুতর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া অথবা মৃত্যু হয় তাহলে সরকার তার কোন দায় নেবে না। টিকাকরণকে বাধ্যতামূলক করলে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে — টিকা গ্রহণকারীর শরীরে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, তার মৃত্যু হলে পরবর্তীকালে তার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে। অথচ সরকার অনেক আগেই বলে দিয়েছে যে তারা কোনো দায়িত্ব নেবে না। সেক্ষেত্রে প্রস্তুতকারকদের ওপরে দায়িত্ব বর্তায়। কিন্তু ভারতের কোভিসিল্ডের ডিস্ট্রিবিউটর অর্থাৎ ভারতের সেরাম ইন্ডাস্ট্রির অধিকর্তা আদার পুনাওয়ালা সরকারকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা কোনো দায়িত্ব নেবে না, কারণ তারা আসলে ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারক নয়। আমাদের মধ্যে আরেকটা ধারণা তৈরি হয়েছে, যেন এটি দেশীয় ভ্যাকসিন, তা কিন্তু নয়। কোভ্যাকসিন দেশীয় পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হয়েছে, যদিও তার কাঁচামালের উপাদানের জন্য আমেরিকার উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। অন্যদিকে কোভিসিল্ড তৈরি করছে এসটাজেনেকা এবং তার ফর্মুলা আছে বিল গেটসের কাছে। ভারতের সেরাম ইন্ডাস্ট্রির তরফ থেকে সেটা শুধু প্যাকেজিং করে vial-এ পোরা হচ্ছে এবং distribute করা হচ্ছে।

ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে অনেক রকমের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যে হচ্ছে সেটা আমরা জানি, কিন্তু অনেকে দুটো ডোজ নিয়েও বলছে, ‘আমাদের তো তেমন কিছু হয়নি’। এক্ষেত্রে একটা কথা খেয়াল রাখতে হবে যে ভ্যাকসিনে তিন ধরনের পার্শপ্রতিক্রিয়া হয় — একটা তৎক্ষণাৎ (short term), একটা মধ্যকালীন (mid-term) এবং আরেকটা দীর্ঘকালীন বা long-term। ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বা চার ঘন্টার মধ্যে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হতে পারে, চার ঘন্টা থেকে চার দিনের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা মৃত্যু হতে পারে, অথবা midterm-এ তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে কিছু হতে পারে, অথবা long-term-এ বারো থেকে চোদ্দ বছরের মধ্যেও এর ক্রিয়া হতে পারে।

কোভিসিল্ডের পার্শপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই blood clotting এর সমস্যার কথা বলছেন, অর্থাৎ রক্ত জমাট হয়ে যাচ্ছে এবং এই কারণেই অনেকের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। এবার ভ্যাক্সিনেশন পরবর্তীকালীন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বা মৃত্যু নিয়ে আরেকটা পরিসংখ্যানের খেলা চলছে। ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে যেমন খেলা চলছিল, এক্ষেত্রে উল্টোটা হচ্ছে। ভ্যাক্সিনেশনের পরে মৃত্যু বা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হলে সেটাকে ভ্যাকসিনেশনের মৃত্যু বা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বলে ধরা হচ্ছে না। সেটাকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা প্যারালাইসিস বলা হচ্ছে; অর্থাৎ যে লক্ষণ দেখা দিচ্ছে সেটা বলা হচ্ছে। এই রোগটা যে ভ্যাকসিনেশনের পরে হয়েছে সেটাকে উল্লেখ করা হচ্ছে না। এইধরনের কোনো রেকর্ড রাখা হচ্ছে না বা রেকর্ড প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাও সরকারি নথি অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত একশো আশি জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে খবরের কাগজ এবং বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে পাঁচ হাজার একশো জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলছে। এগুলো ছাড়াও সারা পৃথিবী থেকেই অসংখ্য মৃত্যু এবং ভয়ঙ্কর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার খবর আসছে। আর এই সমস্ত তথ্যগুলো যারা জানতে পারছেন তাদের অনেকের মধ্যেই হয়তো ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে ইতস্তত ভাব কাজ করছে। আবার long-term পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রজনন শক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার একটা বড় ধরনের সম্ভাবনা আছে।

ভ্যাকসিনের ক্লাসিক্যাল ধারাতে ভাইরাসের প্রোটিন ব্যবহার করে, সেই প্রোটিনকে একটু দুর্বল করে দিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হয়। কিন্তু এবারে, বিশেষ করে কোভিসিল্ডের মতো ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে একটি নতুন প্রযুক্তি আনা হয়েছে। একে বলা হচ্ছে MRNA ভ্যাকসিন। এটা আসলে একটি জেনেটিক কোড — শরীরের মধ্যে এক ধরনের engineered ingredients ঢোকানো হচ্ছে এবং শরীরকে স্পাইক প্রোটিন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকরা দাবি করছেন যে এটা ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু এটা যে যথেষ্ট ক্ষতিকারক সেটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। স্পাইক প্রোটিন তৈরি করার পরে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করার কথা। যতদিন না তার অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, তার দ্বারা যারা ভ্যাকসিন নেয়নি তারাও আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। এবার শরীরে যখন অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে তখন অ্যান্টিবডি হয়তো ভাইরাসটিকে সামলানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ক্রমাগত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েই যাচ্ছে এবং এই অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়াকে থামানোর কোনো উপায় থাকছে না। ফলে শরীরের সুস্থ কোষগুলোকে অ্যান্টিবডি আক্রমণ করতে শুরু করছে এবং এতে শরীরের রিপ্রোডাক্টিভ কোষগুলো আগে আক্রান্ত হচ্ছে কারণ রিপ্রোডাক্টিভ কোষগুলোর সাথে কোভিডের স্পাইক প্রোটিনের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।

ইউরোপ এবং আমেরিকাতে গত বছর থেকেই ভ্যাক্সিনেশন শুরু হয়ে গেছে। ওখানে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার নানান দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে। কোনো অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে হয়তো ভ্যাকসিন নিয়েছে বা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে, তাদের miscarriage হচ্ছে অথবা still baby বা মৃত শিশু প্রসব হচ্ছে। এছাড়া মেয়েদের menstrual cycle-এ বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। এবং পুরুষের বীর্যের মধ্যে স্পার্ম কাউন্ট অস্বাভাবিকভাবে কমে যাচ্ছে, প্রায় জিরো হয়ে যাচ্ছে, অর্থাৎ প্রজনন শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। আপনারা নিজেরা যদি এগুলো নিয়ে খোঁজখবর করেন তাহলে এই নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য পাবেন। মেনস্ট্রিম খবরের কাগজ বা সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এই খবরগুলো তেমন পাবেন না, কারণ তাদের পেছনে ইন্ডাস্ট্রি, স্বার্থ এবং টাকা রয়েছে। তাই ওরা যেনতেন প্রকারেণ ভ্যাক্সিনেশন প্রজেক্টকে প্রমোট করে চলেছে। আপনাদের একটা ওয়েবসাইটের কথা বলতে পারি www.awakenindiamovement.com — এখানে আপনারা অনেক কিছু তথ্য পাবেন এবং আরও নতুন লিঙ্ক পাবেন। এই ওয়েবসাইটে আপনারা দেশে-বিদেশের নানান তথ্য, বিভিন্ন জার্নালের অংশ এবং কৃতি ও স্বনামধন্য বিভিন্ন ডাক্তার, সাইন্টিস্ট, ভাইরোলজিস্ট, ইমিনোলজিস্ট, এপিডোমলজিস্ট ও মাইক্রোবায়োলজিস্টদের অনেক ভিডিও পাবেন। ওরা সৎভাবে অনেক সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। ওখান থেকে অনেক কিছু জানতে পাবেন।

এমতাবস্থায় কোন রাজ্য সরকার যখন ‘ভ্যাকসিন নিতেই হবে’ বলে ঘোষণা করছেন, সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি, অবৈধ ও অসাংবিধানিক। টিকাকরণের এই প্রজেক্ট এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রাধীন, তাই কাউকে টিকা নিতে বাধ্য করার কোন অধিকার নেই রাজ্য সরকারের। এমনকি মৌখিক হুমকি দেখানোরও কোন অধিকার নেই। পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসক এই ধরনের কথা মুখে বললে সেটাও অপরাধ, কারণ টিকাকরণ ঐচ্ছিক। এটা আমাদের ভালো করে জেনে রাখতে হবে।

অতএব যারা বলছেন, ভাবছেন বা শুনছেন যে অমুক জায়গায় আবশ্যিক টিকাকরনের সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা সার্কুলার এসে গেছে, তাদের প্রতি অনুরোধ তাঁরা প্রথমেই সেই সার্কুলার বা বিজ্ঞপ্তিটি চোখে দেখতে চান। হোয়াটসঅ্যাপের কোন মেসেজে ব্লক লেটারে উপরে শুধু একটা ‘নোটিশ’ বলে লেখা থাকলে সেটা অফিশিয়াল কোন ইনস্ট্রাকশন নয়। অথবা কোন sms পেলে বা ফোন করে জানালে সেটাও কোন অফিশিয়াল ইনস্ট্রাকশন নয়। যে স্কুল, কোম্পানি, অফিসের মালিক বা দোকানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান আপনাকে ‘ভ্যাকসিন নিতেই হবে’ বলছে তারা যেন লিখিতভাবে সেটা জানান। কোনো ফাঁকা কাগজে লিখলে হবে না, উপরে লেটারহেড থাকতে হবে এবং নিচে সিলমোহর দেওয়া সই করা কাগজ হতে হবে। লিখিতভাবে যখন এইরকমের নোটিশ হাতে পাবেন তখন আপনি লিখিতভাবে তার উত্তর দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি www.awakenindiamovement.com ওয়েবসাইটে গিয়ে যে লিখিত বয়ানে উত্তর দিতে পারবেন তার ত্রিশ পাতার একটি পিডিএফ পাবেন। সংবিধানের সমস্ত ধারা উল্লেখ করে, আগের আগের ভ্যাকসিনেশনের প্রোগ্রামে সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে হাইকোর্ট যেসব রায় দিয়েছিল সেইসব উল্লেখ করে, এই সকল ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার লিস্ট দিয়ে এবং তার সাথে যত রকমের ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া সম্ভব সব দিয়ে তিরিশ পাতার ডকুমেন্টটি তৈরি করা হয়েছে। এটাকে ডাউনলোড করে, তার প্রিন্ট আউট বার করে শুধু আপনি যাকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখছেন এবং আপনার নিজের নাম ঠিকানা যোগ করতে হবে। বাদবাকি পুরো চিঠিটা তৈরি করে দেওয়া আছে। এই চিঠি পেলে তাদের কিছু বলার কথা নয়। আরও একটা কথা জানিয়ে রাখি, ইতিমধ্যে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে দুটো PIL এর মামলা চলছে — পিটিশন আগেই জমা পড়ে গেছে, এখন তার হিয়ারিং চলছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তার রায় বেরোবে। সাধারণ নাগরিকের পক্ষে যদি রায় যায়, তারপরে যদি কেউ মুখেও বলে ‘আপনাকে ভ্যাকসিন নিতেই হবে, না নিলে আপনি আসতে পারবেন না’ তাহলে সে contempt of court-এ অথবা আদালতের অবমাননার দায়ে পড়ে যাবে।

আপনারা যদি সরকারি ওয়েবসাইটগুলোকেই ফলো করেন তাহলে দেখবেন যে ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। ভ্যাকসিন নিতে না চাইলে প্রয়োজনে ধর্মীয় কারণও দেখাতে পারেন, আপনি বলতে পারেন ‘আমাদের ধর্মে বারণ আছে’। তখন এটা স্পর্শকাতর ধর্মীয় ইস্যু হয়ে যাবে এবং রাষ্ট্র আপনার ওপর কোনো জোর করতে পারবে না।

স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে কোনরকম বৈষম্যমূলক আচরণ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। যেমন ভ্যাক্সিনেটেড মানুষরা ব্যাঙ্কে বেশি ইন্টারেস্ট পাবে এবং নন-ভ্যাক্সিনেটেডরা কম পাবে — এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। একজনের হয়তো ভ্যাকসিন নেওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু এলার্জি বা ডায়াবেটিস আছে বলে অথবা তিনি রক্ত তরল করার ওষুধ খান বা তার হার্ট ব্লকের সমস্যা আছে বলে ডাক্তার হয়তো তাকে ভ্যাকসিন নিতে বারণ করেছেন। তার এই অসুস্থতার জন্য তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ইন্টারেস্ট কম পাবেন? স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের আইন বা রীতি নিশ্চিতভাবেই চলতে পারে না। অতএব যে কতিপয় মানুষ ভ্যাকসিন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা একেবারেই ভয় পাবেন না। ‘সবাই বলছে এটা করতে হবে’ — নিজেকে এই অজুহাত দেবেন না। সবাই বলছে মানেই তারা ঠিক বলছে, এমনও নয়। নিজের বিবেক বিচার দিয়ে যদি মনে হয় যে আপনার পক্ষে ভ্যাকসিন নেওয়া ঠিক নয় তাহলে আপনার সেই সিদ্ধান্তকে রক্ষা করার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। ভারতের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী এরজন্য পুলিশ, প্রশাসন বা প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের কেউই আপনাকে কোন রকম চাপ দিতে পারেনা। এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনও চলছে। বিভিন্ন জায়গায় এক ধরনের প্রশাসনের জুলুম চলছে। যেন ঘাড় ধরে ভ্যাকসিন নেওয়াতেই হবে। এমন এক ভীতির সঞ্চার করা হচ্ছে যেন ভ্যাকসিন না নিলে তারা অন্যদের সংক্রমিত করে দেবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি গত কয়েক মাসের অভিজ্ঞতায় বারবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে যারা টিকার ডোজ নিচ্ছেন তাদের জন্যই বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। ফরাসি বিজ্ঞানী লুক মন্টেনিয়র ঠিক এই কথাটিই বলেছেন — গণ টিকাকরণের কার্যক্রমের জন্যই ভাইরাসটি নতুন স্ট্রেন নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। একজন মানুষ যখনই শরীরে ভ্যাকসিন ঢোকাচ্ছে এবং শরীরকে কৃত্রিমভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে বাধ্য করছে, তখন একপ্রকারে ভাইরাসকে ধাক্কা দিয়ে ক্রমাগত উদ্দীপ্ত করে তোলা হচ্ছে যাতে করে সে নিজের চরিত্র পাল্টে নতুন ইমিউনিটি নিয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারে। এই কথা বহু বিজ্ঞানীই বলছেন। এর পরিবর্তে যদি আমরা ভ্যাকসিন না নিতাম, যদি ভ্যাকসিনের প্রজেক্টটাই না আনা হতো, তাহলে এতদিনে কোন সমস্যাই থাকতো না।

করোনা হচ্ছে, মানুষ সাময়িক অসুস্থ হচ্ছে কিন্তু ওয়ান পার্সেন্টের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে না এবং হাসপাতালে ভর্তি না হলে কোনভাবেই মারা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় যদি আমরা ভ্যাকসিন না নিতাম তাহলে আমাদের হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যেত, অর্থাৎ আমাদের সকলের মধ্যেই ভাইরাসটি থাকত এবং আমরা সকলেই immune হয়ে যেতাম, শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যেত। কিন্তু ভ্যাক্সিন নেওয়ার জন্য করোনা নতুন চরিত্র ও চেহারা নিয়ে ফিরে আসছে এবং দিন দিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই বলা শুরু হয়ে গেছে যে করোনা এবার বাচ্চাদের আক্রমণ করবে। এটাও সেকেন্ড ডোজের ফলে হবে বলে অনেকে অনুমান করছেন। এছাড়া অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার জন্য এবং স্টেরয়েড নেওয়ার জন্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মত উপসর্গ তৈরি হচ্ছে। এখন আপনারা একটা নতুন ভেরিয়েন্টের কথা শুনছেন ‘ডেল্টা’। বলা বাহুল্য, যতক্ষণ না সব মানুষ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় পড়ে যাচ্ছে ততক্ষণ এই গল্প থামবে না। আর একবার বা দু’বার ভ্যাকসিন নিলেই চলবে না, তিনবার, চারবার, পাঁচবার — এভাবে চলতেই থাকবে। যত ভাইরাসের চরিত্র পাল্টাবে এবং নতুন নতুন ভাইরাস আসবে তত ডোজের চরিত্রও পাল্টাবে।

এছাড়া আপনারা জানেন যে বিভিন্ন জায়গায় ফাইভ-জির ট্রায়াল চলছে। শরীরের মধ্যে এরও প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছে তাদের মধ্যে এই প্রভাব আরও তীব্রতর হবে, কারণ ভ্যাকসিনের মধ্যে এমন সব পদার্থ ও ন্যানো পার্টিকেল আছে যে তার সাথে ফাইভ-জির রেডিয়েশনের একটা যোগসূত্র তৈরি হয়ে যাবে। অতএব সামনে মারাত্মক সময় আসছে।

নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য যদি কেউ ভ্যাকসিন না নেওয়ার পরিকল্পনা নেন এবং তার জন্য যদি সচেতনতা ও আইনের দ্বারস্থ হতে চান, তাহলে সেই সুবিধাও আছে। মানুষ অচেতন আছে বলেই প্রশাসন এই ধরনের জুলুম করে বা হুমকি দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখেছি, ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রিয়জনেরা কী করছে সেটা তারা অনুসরণ করছে। অথবা বেশিরভাগ মানুষই তো নিচ্ছে, তাহলে আমি নেব না কেন? এরকম একটা ভাব নিয়ে তারাও নিতে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ বন্ধুরা তো গেল তাহলে আমিও নিয়ে নিই — এরকম শখ করে তারা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ছে। অনেকটা সবাই মিলে মিষ্টির দোকানে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ার মতো ব্যাপার হয়ে গেছে। কিন্তু যারা ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি বুঝতে পারছেন, যারা ভাইরাসের গল্পটার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত খেলাটা ধরতে পারছেন, যারা বুঝতে পারছেন যে এটা মানুষের তৈরি করা এক বিরাট চক্রান্ত, যারা এর পেছনে মুনাফা (profit) ও মানুষের জীবনটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ (control) করার চক্রান্তটা বুঝতে পারছেন, তাদের মধ্যে অন্তত কিছু জন নিজেকে বিপ্লবী বলে মনে করবেন — এই আশা করব। যারা সত্যের সাথে কোনরকম আপস করবেন না বলে ঠিক করছেন তারা অন্তত ‘আমি ভ্যাকসিন নিলে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হতে পারে’ অথবা ‘পাশের জনের তো হয়নি, তাহলে আমার কেন হবে’ এসব না ভেবে এই দুর্নীতিতে সামিল হবেন না বলেই আশা করব। তাঁরা যদি সবটা বুঝেও সবাই নিচ্ছে বলে গা ভাসিয়ে ভ্যাকসিন নেন তাহলে কোথাও না কোথাও এই অন্যায়কে, এই চক্রান্তকে, এই দুর্নীতিকে সমর্থন করলেন। যেন এতে শামিল হলেন, দাসখত লেখালেন। এখানে যে নৈতিকতা ও আদর্শের প্রশ্ন আছে সেই দিকটাও খেয়াল রাখবেন।

— জয়দীপ মহারাজ
(অনুলিখন – দিগন্ত)
[১১ ই জুন, ২০২১ / মরমিয়া আশ্রম]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.