যখন ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্ট জিন্না প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ভয় দেখাচ্ছিলেন, তখনও গান্ধীজী এই আশার ওপর নির্ভর করে বসেছিলেন যে জিন্না শুধুমাত্র মুখেই বড় বড় কথা বলছেন, কাজের বেলায় কিছু করবেন না। ভারতবর্ষের মুসলমানরা কখনওই এত খারাপ হবে না যে পাকিস্তান লাভ করার জন্য হিন্দুদের গণহত্যা করতে পারে। সেটাই ছিল গান্ধীজীর সবচাইতে মারাত্মক ভ্রম।
অবিভক্ত বাংলায় তখন মুসলিমরাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ, কেবলমাত্র এই একটি কারণেই এখানে মুসলিম লীগ ছিল অতীব শক্তিশালী।
তৎকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন জিন্নার সবচেয়ে অন্ধ ভক্ত, অতএব প্রত্যক্ষ সংগ্রামের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি বাংলাতেই হচ্ছিল সবচেয়ে বেশী।
প্রায় সবাই জানতেন যে জিন্নার ডাইরেক্ট একশন বা প্রত্যক্ষ সংগ্রামের সফলতম প্রয়োগ হবে এই বাংলাতেই। সকল প্রকার প্রচার আর পুরোদমে প্রস্তুতি চলছিল কলকাতার সর্বত্র একদম খোলাখুলি এবং প্রকাশ্যে, তারা কেউ কোনদিন তাদের উদ্দেশ্য গোপন রাখার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করে নি। অথচ হিন্দুদের মধ্যে তখন বিরাজ করছিল শ্মশানের শান্তি। কারও মধ্যে বিন্দুমাত্র উদ্বেগ ছিল না, ছিল না কোন প্রকার প্রস্তুতি। সমগ্র জাতি যেন আত্মরক্ষার বিন্দুমাত্র উদ্যোগ না নিয়ে আত্মহত্যার জন্য পাগল হয়ে উঠেছিল। তাদের কারও কারও সমস্ত ভরসার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল গান্ধী, কারও গভীর বিশ্বাস ছিল যে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, সুতরাং মুসলিমরা কদাপি তাদের ক্ষতি করার কথা চিন্তাও করতে পারে না!
সকাল ১০টার মধ্যেই পথে পথে নামাজীদের ভিড় একত্রিত হতে লাগল। বেলা বারোটার মধ্যে ভিড়ের সদস্য সংখ্যা হয়ে উঠল ৩০ হাজার। এই ভিড়ের প্রত্যেক মুসলমানের হাতে দেখা যাচ্ছিল তলোয়ার।
প্রত্যেক মসজিদ থেকে মৌলানারা বার বার কায়েদ এ আজম জিন্নার হুকুমনামা পড়ে শোনাচ্ছিলেন, “বিরাদরান এ ইসলাম, হিন্দুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ুন! হিন্দুদের ওপর দশগুণ তেজের সাথে হামলা করুন!”
মাত্র পঞ্চাশ বছর আগে হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত মুসলমানগণ ঘোর সাম্প্রদায়িকতার বিষে জর্জরিত হয়ে তাদের হিন্দু প্রতিবেশীদের ওপরে হিংস্র আক্রমণ চালাতে থাকে, তাদের যে কোন মূল্যে পাকিস্তান হাসিল করা চাই।
বেলা একটা, নামাজ শেষ হল। এবার জিন্নার কথিত মূল ডাইরেক্ট একশন এর সময়। ত্রিশ হাজার ইসলামী সৈন্য কলকাতার হিন্দু বসতিগুলোর ওপর হামলা আরম্ভ করল। তারা আক্রমণ চালিয়েছিল সম্পূর্ণ প্রস্তুতির সঙ্গে, কৃষকরা যেমনভাবে কাস্তে দিয়ে তাদের জমির ফসল কাটে সেভাবে তারা হিন্দুদের একধার থেকে কাটতে থাকল। যেভাবে কৃষকরা জমির এক এক অংশের ফসল সম্পূর্ণ কেটে তারপর আবার এগিয়ে যায় পরের অংশে অবিকল সেইভাবে।
জিন্নার সৈন্যদল যুদ্ধ পরিচালনা করছিল পরিপূর্ণ পরিকল্পনা আর প্রস্তুতির সঙ্গে, বৃদ্ধ শিশু নির্বিশেষে পুরুষদের জবাই করা হচ্ছিল, হিন্দু নারীদের এবং অল্পবয়সী কন্যাদের বলাৎকার করে অপহরণ করা হচ্ছিল।
যেসকল বৃদ্ধরা পলাতকদের মধ্যে পিছিয়ে পড়ে হাত জোর করে প্রাণভিক্ষা চাইছিল, তলোয়ারের কোপে তাদের গর্দান থেকে মুন্ডু কেটে ফেলা হচ্ছিল।
“মা মা,” করে ক্রন্দনরত শিশুদের হাসতে হাসতে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলতে তাদের কোন দ্বিধাবোধ হয় নি।
ক্রন্দনরতা স্ত্রীলোক যারা স্বহস্তে নিজেদের শরীর ঢাকতে চেষ্টা করছিল, অট্টহাসি হাসতে হাসতে একসঙ্গে কুড়িজন করে মুসলমান পুরুষ দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছিল।
তাদের মনে ছিল একমাত্র কায়েদ এ আজম জিন্না, চোখে ছিল শুধুমাত্র পাকিস্তানের স্বপ্ন। সন্ধ্যা নেমে এল, সারারাত একই ভাবে আক্রমণ চলতে থাকল। শুধুমাত্র প্রথম দিনেই ১৫০০০ হিন্দু নিহত হল আর দশ হাজার হিন্দু নারী হয়েছিল ধর্ষণের শিকার!
জিন্না খুশী হয়েছিলেন, তাঁর ডাইরেক্ট একশন এর প্রথম দিনটা কলকাতার মাটিতে সফল হয়েছিল।
দ্বিতীয় দিনটা ছিল ১৭ই আগস্ট, মেটিয়াবুরুজের কেশোরাম কটন মিল। জিন্নার বিজয়ী সেনাদের আজকের লক্ষ্য। মিলের শ্রমিকরা দরিদ্র হিন্দু।
ভোরবেলা ফজর এর নামাজের পর থেকেই তলোয়ার হাতে নেমে পড়েছে জেহাদীরা। উৎসাহ তাদের প্রথম দিনের চেয়েও অনেক বেশী। মোট ১১০০ শ্রমিক, যার মধ্যে ৩০০ উড়িয়া, সকাল ১১টার মধ্যেই সব নিহত।
আকাশে বাতাসে শুধু একটা ধ্বনি, “কায়েদ এ আজম জিন্না জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ!”
এবার তাদের উৎসাহ শ্রমিকদের স্ত্রী কন্যাদের নিয়ে খেলা করায়। প্রতিবেশী এলাকায় আক্রমণ অপেক্ষা করতে পারে। এর বেশী লেখা সম্ভব নয়, শুধুমাত্র হিসাবটা জেনে রাখুন, মোট এক হাজার নারী!
তৃতীয় দিন থেকে বাঙালী বীর গোপাল মুখার্জীর নেতৃত্বে পালটা প্রতিরোধ শুরু হতেই চিত্রটা দ্রুত পরিবর্তিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত কলকাতার মাটিতে ডাইরেক্ট একশন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হল।
এরপর কিছুদিনের জন্য গণহত্যা থেমে থাকল, তলোয়ার গুলোতে ধার দিতে সময়ের দরকার ছিল। কলকাতার ব্যর্থতার প্রতিশোধ নিতে হবে যে!
এবার লক্ষ্য পূর্ববঙ্গের সবচাইতে মুসলিম বহুল জেলা নোয়াখালী। খাল বিল নদী নালায় ঘেরা ৮৫% মুসলিম অধ্যুষিত, হিন্দুদের মধ্যে আবার গরিষ্ঠ অংশ দরিদ্র ও তফশিলী জাতীয়, তাদের ওপর যোগেন মণ্ডলের প্রভাব খুব বেশী।
গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের সময় নোয়াখালী ছিল শান্ত, কোন হিংসাই হয়নি। কিন্তু তার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার ইস্টার্ন কম্যান্ড হেডকোয়ার্টারে রিপোর্ট আসে যে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর গ্রাম এলাকায় উত্তেজিত মুসলিমরা হিন্দুবিদ্বেষমূলক নানা ছড়া, পালা, যাত্ৰাগান ও ছন্দোবদ্ধ স্লোগান তৈরি করছে ও বিভিন্ন হাটে বাজারে গান গেয়ে আবৃত্তি করে প্রচার করছে। মসজিদগুলোতে হিন্দুবিদ্বেষমূলক ছড়া, প্রবচন ও ভাষণ ওয়াজ মাহফিলে প্রচার করা হচ্ছে।
বিভিন্ন সমাবেশে উস্কানিমূলক বক্তৃতা ছড়িয়ে হত্যাযজ্ঞের মঞ্চ প্রস্তুত করতে শুরু করেছিলেন গোলাম সরওয়ার হুসেইনী ও তাঁর অনুসারীরা। নোয়াখালী প্রচুর খাল বিল ও নদী অধ্যুষিত থাকায় এটি ছিল প্রত্যন্ত এলাকা।
সাম্প্রদায়িক প্রচার: দাঙ্গার নায়ক গোলাম সরওয়ার হুসেইনীর বসত বাড়ি ছিল দিয়ারা শরীফ, শ্যামপুর। ১৯৩৭ সালে মুসলিম পীর পরিবারের বংশধর গোলাম সরওয়ার হুসেইনী কৃষক প্রজা পার্টির থেকে মনোনয়ন নিয়ে বঙ্গীয় আইন পরিষদে নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে তিনি মুসলিম লীগ দলের প্রার্থীর নিকট পরাজিত হন। গোলাম সরওয়ারের পিতা এবং পিতামহ ধার্মিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং কঠোর ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতেন। তাঁরা বংশানুক্রমিক ভাবে শ্যামপুরের দিয়ারা শরীফের খাদিম ছিলেন। দিয়ারা শরীফ ওই এলাকার হিন্দু মুসলিম সবার কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য হত।
কলকাতার প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের পর থেকে হুসেইনি উস্কানি মুলক বক্তব্য রাখতে শুরু করেন এবং মুসলিমদের হিন্দু নিধনে উৎসাহিত করতে থাকেন।
ঈদের দিনে সহিংসতা: ১৯৪৬ সালের ২৯শে আগস্ট ছিল ঈদ-উল-ফিতর, মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। নোয়াখালীর হিন্দুদের মনের আশঙ্কা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। পরিকল্পিত ভাবে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হল যে হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায় অস্ত্র হাতে জড় হচ্ছে। ফেণী নদীতে মাছ ধরা নিয়ে হিন্দু জেলে ও মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একজন হিন্দু মারা যায় আর আরও দুজন হিন্দু মারত্মকভাবে আহত হয়। মুসলিমরা মারণাস্ত্র নিয়ে চর উড়িয়াতে নয় জন হিন্দু জেলেকে আক্রমণ করে। তাদের বেশীর ভাগ মারাত্মকভাবে জখম হয়। সাত জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রামগঞ্জ থানার আওতাধীন বাবুপুর গ্রামের কংগ্রেস নেতার পুত্র দেবীপ্রসন্ন গুহকে মুসলিমরা হত্যা করে। দেবীপ্রসন্নের আরেক ভাই এবং কর্মচারীকে মারাত্মক ভাবে আহত করে তারা। দেবীপ্রসন্নের বাড়ির সামনে থাকা কংগ্রেস অফিস আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। জামালপুরের কাছে মনপুরার চন্দ্রকুমার কর্মকারকে ও ঘোষবাগের হোটেল কর্মচারী যামিনী দেকে হত্যা করা হয়। চর পার্বতীর তাজু মিঞার হাটে দেবীসিংহপুরের অংশু সেনকে নৃশংস ভাবে পেটানো হয়। বাঁশপাড়ার রাজকুমার চৌধুরীকে বাড়ি যাবার পথে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে জখম করে ফেলে রাখা হয়।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই মুসলিমরা সাহাপুরের হিন্দু দোকানপাট লুঠ করে। ৬ই সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ গোলাম সারওয়ার মুসলিম লীগের অধ্যক্ষ হন।
পরিকল্পিত ভাবে গ্রামের খালগুলোর বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে ফেলা হয় ও রাস্তা খুঁড়ে চলাচলের অযোগ্য করা হয়। মুসলিমরা হিন্দু দোকানপাট থেকে দ্রব্যাদি কেনা থেকে বিরত হয়। রামগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ থানার অধীন এলাকার নৌকার মুসলিম মাঝিরা হিন্দু যাত্রীদের পারাপার করতে অস্বীকৃতি জানায়।
কলকাতা থেকে যে সব হিন্দু তাদের গ্রামে দুর্গা পূজার ছুটি কাটাতে এসেছিল তারা স্থানীয় মুসলিমদের নিকট হয়রানি, নির্যাতন ও নিগ্রহের শিকার হতে থাকে। মুসলিমরা অক্টোবরের ২ তারিখ থেকে সুযোগ পেলেই হিন্দুদের সম্পদ লুঠ, হিন্দুদের হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে দেয়। ঘটনা প্রবাহ খুব দ্রুত এগিয়ে যায়। কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ২ দিন আগে নোয়াখালীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এম জে রায় অবসরের আগেই জেলা ছেড়ে পালিয়ে যান।
১০ই অক্টোবর ১৯৪৬ গোলাম সরওয়ার হুসেইনীর বক্তব্যের পর রামগঞ্জ থানার সাহাপুর বাজারের হিন্দু দোকানপাট মুসলিমরা লুঠ করে। তারপর মুসলিমরা কংগ্রেস নেতা সুরেন্দ্রনাথ বসুর বসতবাড়ি আক্রমণ করে।
পরের দিন নোয়াখালী বারের সভাপতি এবং হিন্দু মহাসভার নেতা রাজেন্দ্রলাল চৌধুরীর বাড়ি আক্রান্ত হয়। মোট দশ হাজার হিন্দু নিহত হয়, পুরুষদের সামনেই স্ত্রীলোক ও মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়, তারপর পুরুষদের ও শিশুদের হত্যা করা হয় মেয়েদের সামনে। মেয়েদের তুলে দেওয়া হত তাদের স্বামী বা সন্তানের হত্যাকারীদের হাতেই। এক লক্ষ হিন্দু অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে, তাদের জীবন বাঁচানোর একটাই উপায় ছিল, গোমাংস খেয়ে ইসলাম কবুল করা! এক সপ্তাহের মধ্যেই পঞ্চাশ হাজার হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হয়। পরের সপ্তাহে রায়পুর, রামগঞ্জ, বেগমগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরে আরও এক লক্ষ হিন্দু ধর্মান্তরিত হলেন। মোট ত্রিশ হাজার নারী হয়েছিলেন ধর্ষিতা! জিন্না শেষ পর্যন্ত নিজের শক্তি প্রদর্শন করতে সক্ষম হন।
বাংলার বিধান সভায় নোয়াখালীর একমাত্র হিন্দু সদস্য হারাণচন্দ্র ঘোষচৌধুরী বলেন, “এটা দাঙ্গা নয়, এটা ছিল মুসলিমদের সুপরিকল্পিত গণহত্যা।”
এবার হিন্দু মহাসভা নিগ্রহ মোর্চা গড়ে পথে নামল, নোয়াখালীতে সেনাও পৌঁছলো। গণহত্যার গতি স্তব্ধ হল।
গান্ধীজীর অহংকার ভাঙল, তিনি বললেন, “ব্রিটিশদের ভাগ করে শাসন করার নীতির ফলে আজ এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হল যে হয় সারাদেশে রক্তের স্রোত বয়ে যাবে অথবা ইংরেজ শাসন চলতেই থাকবে!”
যে সত্য তিনি অস্বীকার করলেন তা হচ্ছে গান্ধী হেরে গেলেন আর জিন্না জিতে গেলেন।
জিন্নার ডাইরেক্ট একশন সফল হয়েছে, নেহরু আর সর্দার প্যাটেল ভারত বিভাজন স্বীকার করে নিলেন।
আজ সেই দিন থেকে ঠিক ৭৫ বৎসর বাদে আকাশে বাতাসে শোনা যাচ্ছে, “জিন্না সেক্যুলার ছিলেন!”
আদবাণী হোন বা আয়ার, সর্বেশ তেওয়ারী বা অতুল সিংহ, বিভক্ত ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা জিন্নার প্রশংসা করতে পারেন তাঁদের তুলনা সারা বিশ্বে মেলা ভার!
আজ ৭৫ বছর পর শোনা যাচ্ছে যে জিন্না সেক্যুলার ছিলেন!
2021-08-14