কাঁধে বন্দুক ঝোলানো ওই শিশুরা হিংস্র নেকড়ের মতো আল্লাহু-আকবর বলেই ঝাঁপিয়ে পড়লো আমার সন্তানদের উপর, ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিলো

আফ্রিকার ছোট্ট দেশ বুরকিনা ফাসোতে বাড়ছে জেহাদি আক্রমন যা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেই ঘটে থাকে, কিন্তু যে ব্যাপারটা দেশের সরকারকে ভাবাচ্ছে তা হলো জেহাদে হাজারো শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করা। জেহাদে শরিক হাজারো শিশু আফ্রিকার ছোট্ট দেশ বুরকিনা ফাসোয়।

জুন মাসে এক ভয়ঙ্কর জেহাদি আক্রমণের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে ফাতিমা আমাদৌ বললেন তিনি আঁতকে উঠেছিলেন আক্রমণের ভয়াবহতার চাইতেই অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন শিশু জেহাদিদের দেখে। ওই শিশুদের কাঁধে ছিল তাদেরই উচ্চতার বন্দুক এবং চোখে ছিল প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই নৃশংসতা। আমাদৌ আরো বলেন অস্বাভাবিক ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ওই বাচ্চাগুলো প্রাপ্তবয়স্ক জেহাদিদের মতোই আল্লাহু আকবর বলে আক্রমণ করে সলহান শহরের সাহেল অঞ্চলের জনবসতি।

“কাঁধে বন্দুক ঝোলানো ওই শিশুরা অস্বাভাবিক ক্ষিপ্রতায় হিংস্র নেকড়ের মতো আল্লাহু-আকবর বলেই ঝাঁপিয়ে পড়লো আমার সন্তানদের উপর, ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিলো, কোনোমতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলাম আমরা,” বললেন আমাদৌ।

ওই ঘটনায় ১৬০ জন মারা যায়।

তিনি বলেন শিশুদের মধ্যে কিছু শিশু ছিল এতো ছোট যে তারা ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারছিলো না। তা সত্ত্বেও তাদের প্ররোচিত করা হয় আরবী ভাষায় ওই শব্দগুলো উচ্চারণ করে নৃশংসভাবে আক্রমণে উদ্যত হতে।
৪৩ বছরের ওই বিবাহিতা ও দুই সন্তানের মা ওই মহিলা আরো বলেন তাঁর এই ভেবেই আশ্চর্য্য লাগছিলো যে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা ওই শিশুদের মন এমন ভাবে বিষিয়েছে যে তারা কিছু না ভেবেই শুধু জেহাদের নাম করে খুনের প্ররোচনায় হিংস্র নেকড়ের মতো তাঁর সন্তানদের আক্রমণ করে।

সেব্বা শহরে বসবাসরত ওই মহিলা আরো বলেন তাঁর পরিবার শুধু কপালজোরে ওই হামলায় কোনোমতে বেঁচে যান।

ওই ঘটনায় ১৬০ জন নিরীহ বেঘোরে মারা যান। আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট পাঁচ বছর আগে কবজা করার পর থেকে বুরকিনা ফাসোর ওই অঞ্চলে তীব্র সংঘর্ষ চলছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.