গত কয়েক মাস ধরে চলছিল চাঁদের মাটিতে ভারতের চন্দ্রযান-২ পাঠানোর প্রচেষ্টা। ইসরোর এই প্রচেষ্টাকে উৎসাহ যোগাতে পাশে দাঁড়িয়েছিল পুরোদেশবাসী। যুব-সমাজ থেকে শুরু করে দেশের প্রধানমন্ত্রী সবাই কঠিন সময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল ইসরোর।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চাঁদের মাটিতে পা দেওয়ার কিছুক্ষন আগেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইসরোর বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে চলছে বিক্রম এবং অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ করার লড়াই । যদিও মনে করা হচ্ছে যে বিক্রম চাঁদের দক্ষিণ পাশে অবতরন করেছে তবুও সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি।
ইসরোর বর্তমান এই উদ্বেগময় পরিস্থিতিতে পাশে এসে নতুন করে কিছু করে দেখানর উৎসাহ যোগাচ্ছে মথুরার বৈষ্ণবধর্মী ভক্তরা। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে মথুরায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের মহাঅভিলাষ উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় এক লাখের উপরে তীর্থযাত্রী এসে উপস্থিত হন মথুরার গোবর্ধন হিলক নামক জায়গায়।
মথুরার গিরিরাজ সেবা সমিতির প্রধান মুরারী আগরওয়াল জানিয়েছেন, হিন্দু ধর্মের সনাতন রীতি মেনে এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণই হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজনে ছাপ্পান্ন পদের ভিন্ন ভিন্ন সুস্বাদু রান্না ভোগ দেওয়া। ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেওয়া এই ছাপ্পান্ন ভোগের অনুষ্ঠান তিন দিন ধরে চলে। ঘি এবং অন্যান্য উপকরন দিয়ে তৈরি করা প্রায় ২১ হাজার কেজির এই প্রসাদ তৈরি করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেমন লখনউ, আগ্রা, ইন্দোর, মাদুরাই থেকে আনা হয়এছিল রাঁধুনিদের।
তিনি আরও বলেন, ‘যে আজকের বিজ্ঞান মনোভাবাপন্ন পৃথিবীতে এটি আধ্যাত্মিকতা ও নতুনত্বের সংমিশ্রন’।
তাইতো তাঁদের তৈরি ভগবানের এই ভোগ উৎসর্গ করা হবে ইসরোকে। কারন তারা মনে করেন যেকোনও বৈজ্ঞানিক সৃষ্টির পিছনে আধ্যাত্মিকতার হাত রয়েছে। আর এই আধ্যাত্মিক শক্তির উপসনায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করা এই ছাপ্পান্ন ভোগ তারা উৎসর্গ করবে ইসরোর ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনায়।