বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পরে ভুয়ো খবর ছড়াতে শুরু করেছিল পাক সংবাদমাধ্যমগুলি। এতে দোসর হন কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারী। এমনই কিছু উদাহরন তুলে ধরা হল।
- হাইলাইটস
- বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পরে ভুয়ো খবর ছড়াতে শুরু করেছিল পাক সংবাদমাধ্যমগুলি।
- এতে দোসর হন কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারী।
- এমনকী পাকিস্তানের শাসক দলও এই ভুয়ো খবর প্রচারে যোগ দিয়েছিল।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই ঘটনার পর পকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এবং কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী পুরনো ছবি এবং ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে ভারতের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমে যান। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আসল সত্য চাপা দেওয়া। গোটা বিষয়টিকে বিশেষজ্ঞরা আধুনিক যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যখ্যা করেছেন। যাকে অনেকে ‘মিস ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার’ আখ্যা দিয়েছেন।
ফেক নিউজ ১
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দুটি ‘ভারতীয় যুদ্ধবিমান’ গুলি করে নামিয়েছে দাবি করে একটি ট্যুইট করেছিল দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। খবরের সঙ্গে ভেঙে পড়া একটি বিমানের ছবি ব্যবহার করেছিল তারা। ট্যুইটে #PakistanStrikesBack ব্যবহার করেছিল তারা।
সত্য-তথ্য:
ট্যুইটের সঙ্গে ব্যবহার করা ছবিটি অনেকে পুরনো। ইমেজ সার্চ করে দেখা গিয়েছে ২০১৬ সালের জুনে নয়া দুনিয়া-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সঙ্গে ভেঙে পড়া এই যুদ্ধবিমানের ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে পাক সেনার গুলিতে বিমানটি ধ্বংস হয়েছে, এমন দাবি সম্পূর্ন মিথ্যা।
ফেক নিউজ ২
ARY নিউজ চ্যানেলের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করা একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। ওই ভিডিয়োতে পাক বিদেশমন্ত্রীকে সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতি দিতে দেখা যাচ্ছে। একটি ভেঙে পড়া ভারতীয় মিগ বিমানের ছবিও ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে।
সত্য-তথ্য:
ARY চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিয়োতে যে মিগ বিমানটিকে দেখা যাচ্ছে সেটি আসলে সেটি আসলে ২০১৬ সালে যোধপুরে ভেঙে পড়েছিল। একটু খুঁটিয়ে দেখলেই বিষয়টি বুঝতে খুব একটা সময় লাগে না।