এবার রান্না করা খাবারকে বিদায় দিতে চলেছে রেল, হকারদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির আশঙ্কা

করোনা পরিস্থিতিতে (Corona Virus)) ট্রেনে রান্না করা খাবার দেওয়ার রেওয়াজ বন্ধ হয়েছে। পরিবর্তে কোল্ড ড্রিঙ্ক, কেক, বিস্কুট, জল প্যান্ট্রি কার থেকে কিনে খেতে হচ্ছে যাত্রীদের। এই ব্যবস্থাকে স্থায়ী করতে চলেছে রেল (Indian Railway)। রান্নার ঝামেলাকে চিরতরে বিদায় দিতে চাইছে রেল। সম্প্রতি রেলবোর্ডের সঙ্গে জোনাল কর্তাদের ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে আসে। এসি কামরা থেকে লিনেন উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে কুকিং ফুডকেও ‘টাটা’ করার কথা ভাবা হচ্ছে। বিশেষ কমিটি করে এগুলোর প্রাসঙ্গিকতা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

রাজধানী (Rajdhani) এক্সপ্রেস, শতাব্দী (Satabdi) এক্সপ্রেসে টিকিটের সঙ্গে খাবারের দাম ধরা হত। ফলে ট্রেনগুলিতে খাবার দেওয়া হত যাত্রীদের। পূর্ব রেল জানিয়েছে, এখন রাজধানী স্পেশাল চলছে। ফলে টিকিটের সঙ্গে খাবারের দাম ধরা হচ্ছে না। যাত্রীরা ট্রেনের ভিতরে প্যাকেট খাবার কিনতে পারছেন। অন্য ট্রেনগুলিতে রেডি টু ইট প্যাকেটজাত খাবার মিলছে।

দীর্ঘ কয়েক দশকের রেওয়াজ বন্ধ হলে ট্রেনে হকারদের বেআইনি খাবার বিক্রি বেড়ে যাবে। ফলে খাবারের মান থাকবে না, দাম হবে তাদের ইচ্ছেমতো। যাত্রীদের অভিযোগ, হাওড়া নিউ কমপ্লেক্সে যে গুটি কয়েক ট্রেন চলছে তাতেই হকারদের সীমাহীন দৌরাত্ম্য চলছে। দু’লিটারের জলের বোতল ইচ্ছামতো দামে বিক্রি হচ্ছে। রেলনীর ছাড়া অন্য কোনও জল রেল স্টেশন বা ট্রেনে বিক্রি করাটা বেআইনি। তবুও কয়েকশো হকার এই দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে প্রকাশ্যে। যাত্রীদের অভিযোগ, এই দৌরাত্ম্য অদূর ভবিষ্যতে সীমাহীন পর্যায়ে চলে যাবে। পাশাপাশি ক্যাটারিংয়ে যুক্ত বহু কর্মী কাজ হারাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.