কোনওমতেই কমানো যাবে না করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা : প্রধানমন্ত্রী

করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকাকরণের পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষায় জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । দেশের করোনা  টিকাকরণ নিয়ে পর্যালোচনা সংক্রান্ত একটি বৈঠক আয়োজিত হল শনিবার। সেই বৈঠকে নেতৃত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী জানান, কোনও এলাকায় সংক্রমণ রুখতে নমুনা পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। তাই কোনওমতেই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমানো যাবে না। 

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং করোনা টিকাকরণের অগ্রগতি নিয়ে শনিবার কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । এদিন বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হওয়া ভারচুয়াল বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সিনিয়র আধিকারিকরা। এই মুহূর্তে দেশে দৈনিক টিকাকরণের গতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামিদিনেও এই গতিতেই টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে জানান তিনি।

এরই পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আগামী মাসগুলিতেও টিকার সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে না। পাশাপাশি দেশেও টিকা উৎপাদনের গতি বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে করোনা পরীক্ষার হারও যাতে না কমে সেদিকেও জোর দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘করোনার পরীক্ষার হার যাতে না কমে সেটাও দেখতে হবে। কেননা এই টেস্ট কিন্তু যে কোনও অঞ্চলে সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, তা বুঝতে সাহায্য করে।’’

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে কীভাবে টিকাকরণ হচ্ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে মোদীকে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। বয়স, রাজ্য, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ভিত্তিতে টিকাকরণের অগ্রগতির বিষয়েও জানানো হয়েছে। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন যে আগামিদিনে টিকার জোগান আরও বাড়বে। ঘরোয়াভাবে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

গত ২১ জুন থেকে দেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বিনামূল্যে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবারের বৈঠকে আধিকারিকরা মোদীকে জানান যে গত ছ’দিনে দেশে ৩.৭৭ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। যা মালয়েশিয়া, সৌদি আরব এবং কানাডার মতো দেশের জনসংখ্যার থেকেও বেশি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে দেশের ১২৮ টি জেলায় ৫০ শতাংশের বেশি ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের টিকাকরণ হয়েছে। ১৬ টি জেলায় সেই হার ৯০ শতাংশেরও বেশি। ক্রমবর্ধমান টিকাকরণের হারের প্রশংসা করেছেন মোদী। সেইসঙ্গে আধিকারিকরা মোদীকে জানিয়েছেন, টিকা নিয়ে যাতে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়, সেজন্য উদ্ভাবনী পন্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.