কমিউনিস্টদের মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছিলেন জগদ্বিখ্যাত পদার্থবিদ, আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ

কমিউনিস্টদের মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছিলেন জগদ্বিখ্যাত
পদার্থবিদ, আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ সেই মৃত কলকাতা সমাজে, বিশেষ করে বিদ্যালয়ে, বামপন্থীদের প্রবল প্রতিপত্তি।

ভিয়েতনাম ও শেরিয়া নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হত। কয়েক কমিস্টি অধ্যাপক সেই সময় মানি বিরােধী এই সব সমাবেশে ছাত্রদের উস্কানি নিতেন তাঁদের মধ্যে ব্যাপক নির্মল ভট্টাচার্য, বাসন্তি দুলাল নাগচেীধুরী উল্লেখযোগ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আশুতােষ হলে আমেরিকা পরমাণু বিক্ষোক্ষে radio active dust বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে এই নিয়ে প্রতিবাদ সভার আয়োজন হয়। সভাপতি পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক বাসন্তি দুলাল নগচৌধুরী। প্রধান বক্তা করা হল
আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে।

রাজনৈতিক কোনও সভা-সমিতিতে যেতেন না, যেহেতু বিজ্ঞানের ব্যাপার তাই তিনি রাজি হলেন যেতে।সভায়
প্রচুর ছাত্র দের সমাগন তিলধারনের, জায়গা নেই।

অধ্যাপক নির্মল ভট্টচার্য ও অধ্যাপক বাসণ্ডীদুলাল নাগচৌধুরী প্রচণ্ড মার্কিন বিরােধী জ্বালাময়ী
বক্তব করলেন।

সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে সকলের শেষে ডাকা হল। তিনি সাইবেরিয়া অঞ্চলে সােভিয়েত পরমাণু বিক্ষোৰণ এবং আমেরিকার প্রশান্ত সাগর অঞ্চলের বিস্ফোরণের যে পরিসংখ্যান গিলেন তাতে দেখা গেল যে আমেরিকার থেকে সােভিয়েত রাশিয়া দ্বিগুন পরমাণু বিস্ফরণ জটিয়েছে। তিনি
উদ্যোক্তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তােমরা সােভিয়েতের পরমানু বিস্ফরণের বিরুদ্ধে কতগুলি প্রতিবাদ সভা করেছ। শ্রোতাদের মধ্যে গুঞ্জন উঠল। সত্যেন্দ্রনাথ বসু বললেন, আমাকে ছেলেরা বলেছিল যে এখানে আলােচনা হবে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে।

এখানে যেস ব কথাবার্তা সুনলাম এত মনে হল এর সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনও সম্পর্ক নেই। এ কথা বলে তিনি আশুতোষ হল থেকে বেরিয়ে গেলেন।
একেই বলে মেরুদণ্ড সােজা ৱাখা যেটা বিগত চার দশকে বাংলার কোনও বিশ্ব্বিদ্যলয়ে বা কলেজের শিক্ষ্ক বলতে পারেননি। বামেদের বিভিন্ম মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁর মুখ
খােলেননি, আর ছাত্রছাত্রীদের সত্যের পথ
দেখাতে পারেননি। তারা অতীতেও ছাত্রীদের মাথা খেয়েছেন তার আজ খেয়ে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.