- ডানলপ
- কেশোস্পার্ন
3 উইন্ডো গ্লাস - এল এম আই
- কেশোরাম রেয়ন
এই যে লিস্ট টা দেখছেন এটা শুধুমাত্র চুঁচুড়া-মগরা ব্লক আর বাঁশবেড়িয়া এড়িয়ার বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার লিস্ট ।এই লিস্ট আরোও দীর্ঘ হতো কারন দীর্ঘ 44 বছরে আমাদের ব্লকে আরোও অনেক মাঝারি ও ছোট মাপের ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়েছে ।পাঠকদের সুবিধার জন্য এই পাঁচটি বড় ফ্যাক্টরির নাম আমি দিলাম যা একদা হুগলী শিল্পাঞ্চলের ফুসফুস ছিল। এই পাঁচটি ফ্যাক্টরি মধ্যে প্রথম চারটি বিগত বাম আমলে বন্ধ হয়ে যায়, আর শেষেরটি বিগত দুদিন আগে কারখানা কতৃপক্ষ কারখানার গেটের সামনে লক আউটের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় ।
এই কারখানা গুলো কেন বন্ধ হয়ে গেলো তা জানতে দু-একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া ফ্যাক্টরির শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিগত দুমাস আগে কথা বলেছিলাম তারা গুরুতর দুতিনটি অভিযোগ করেছিল প্রথমত রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিস্থিতি যে বহু বছর ধরে প্রতিকূল তার দিকে আঙুল তুলেছিল আর দ্বিতীয়ত মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সেটিংস এর অভিযোগ তারা জানিয়েছিল । এই সেটিংসএর ক্ষেত্রে ডান-বাম উভয় নেতারাই একি গোয়ালের গরু।
এই যেমন ধরুন মালিক পক্ষ সিদ্ধান্ত নিলো ফ্যাক্টরিতে স্হায়ী শ্রমিক তারা নিয়োগ না করে বদলির শ্রমিক নেবে ।
কারখানার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা দলবদ্ধভাবে কতৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কারখানার মধ্যে
আন্দোলনে শুরু করলো ।
চারদিকে পোস্টার ছেয়ে গেলো কতৃপক্ষের “কালো হাত ভেঙে দাও গুরিয়ে দাও ।
এরপর কতৃপক্ষ শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বদ্ধ ঘরে টেবিলের তলায় লাখ লাখ টাকার সেটিংসে হলো বদলির শ্রমিক নিয়োগের জন্য ।
এই বন্ধ হয়ে যাওয়া কেশোরাম রেয়নে বদলির শ্রমিক নিয়োগ হয়েছে 4-5 লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে। এই বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা গুলোয় বছর বছর ধরে এইরকম ধরনের নোংরা ইউনিয়নবাজী চলে যার খেসারত দিতে হয় সাধারন শ্রমিক পরিবার গুলোকে ।
এলাকায় কান পাতলে শোনা যায় একদা এক সময়কার দাপুটে বাম শ্রমিক নেতা এখন বর্তমানে মগরার রামকৃষ্ণ সিনেমা হলের কাছে কোটি টাকা দিয়ে নার্সিংহোম খুলেছে ।
নিন্দুকেরা বলে বাম আমলে নাকি এই সর্বহারার গুনধর নেতাটি এই এলাকার বিভিন্ন কারখানার মালিকদের থেকে তোলা তুলতো ,এখন সেই রাজ্যপাট না থাকায় জনসেবার জন্য নার্সিংহোম খুলে আগের কামানো টাকা লগ্নি করছে ।
2021-06-25