আটের দশক থেকে বাংলা সংবাদ মাধ্যমের অবনতি শুরু হয়। তবুও নয়ের দশক থেকে বর্তমান শতাব্দীর শুরুর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত এর মান খারাপ হলেও চলে যেত। কিন্তু তারপর থেকে বাংলার সংবাদ মাধ্যমের মান এত নিম্ন হয়ে গেছে যে পড়া বা দেখা যায় না।
নয়ের দশক পর্যন্ত সংবাদ মাধ্যম বলতে শুধু প্রিন্ট মিডিয়া ই ছিল। দুরদর্শন, রেডিও সরকারি প্রচার করত। এই শতাব্দীর শুরুথেকেই বাংলায় প্রাইভেট নিউস চ্যানেল শুরু হয়।
সম্ভবত প্রথম বাংলা সংবাদের ২৪ঘন্টার চ্যানেন তারা বাংলা। তারা বাংলার প্রথম দিকের ভূমিকা খুবই ভাল ছিল। এবং “রাজায় রাজায়” বলে যে ডিবেটের প্রোগ্রামটা করত তা খুবই উচ্চমানের ছিল।
২০০৬এর পর থেকে পুরো বাংলা সংবাদ মাধ্যম একদম নিম্নমানের হয়ে গেল। এই সময় চিট ফান্ড কোম্পানি গুলোর রমরমা। কিছু সংবাদ মাধ্যমের চিটফান্ড সংস্থাই মালিক ছিল। আর বাদবাকিগুলো চিটফান্ড সংস্থার বিজ্ঞাপনে চলত।
চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ধরা পরার পর এইসব সংবাদ মাধ্যমে যখন দিনের পর দিন ন্যাকামি করত তখন আমার গা জ্বালা করত। এই সংবাদ মাধ্যমগুলো সব জানতো কিন্তু চুপকরে ছিল। তবে একটা ছোট সংবাদ মাধ্যম কিন্তু এই নিয়ে সোচ্চার ছিল?ব্যক্তিগত দেনা পাওনায় রফা হয়নি বলে সোচ্চার ছিল কি না বলতে পারব না, কিন্তু সোচ্চার ছিল।
হ্যাঁ যে সঞ্চালক নিয়ে সব চেয়ে বেশি খিল্লি হয় সেই সঞ্চালক এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল।
আমি ও আমার মালকিনও তাকে নিয়ে খুব খিল্লি করতাম, সেই সঞ্চালক রূপলাগি থেকে শুরু করে কৃষিকাজ পর্যন্ত সব কিছু নিয়ে প্রোগ্রাম করত। আর ওই সঞ্চালককে দেখতেই মাঝে মাঝে ওই চ্যানেলটা দেখলাম। এইরকম আমার মালকিন একদিন টিভি ঘোরাতে ঘোরাতে বলল,দেখ!দেখ! তোমার সেই লোকটা!
সেই সময়ই দেখেছিলাম,সেই সঞ্চালক চিটফান্ড নিয়ে প্রোগ্রাম করছে প্রোগ্রামের নামটাও খুব ভালো দিয়েছিল, #চিৎফান্ড।
আর এটা নিয়ে সে ধারাবাহিক ভাবে প্রোগ্রাম করেছিল। চিটফান্ডের চিটিংবাজি এই প্রোগ্রামে খুব ভালোভাবেই তুলে ধরেছিল।
আমি এই ঘটনার উল্লেখ করলাম কারন সামান্য ছোট একটা চ্যানেল যদি চিটফান্ডের এই চিটিং বাজি জানতে পারে, তাহলে অত বড় বড় মিডিয়া হাউস জানতে পারেনি না এটা বিশ্বাস করতে হবে?
আসলে সব সংবাদ মাধ্যম সব কিছু জেনেশুনে চুপ করে ছিল।
সব কিছু ফাস হবার পর এরা ন্যাকামি শুরু করেছিল।
বিশেষ করে ওই ঘন্টা চ্যানেল আর তার বৃহন্নলা সঞ্চালকের ন্যাকামি সেটা সব চেয়ে বেশি অসহ্য।
সব কিছু ঘটনা ঘটে যাবার পর এদের এই ন্যাকামি শুরু হয়।
আমি আমার মালকিনের সিরিয়াল দেখা নিয়ে খুব খিল্লি করতাম। এখন দেখছি ভুল করেছি, এই সব সংবাদ মাধমের প্রোগ্রাম দেখার থেকে মোহর,যমুনাঢাকি দেখা অনেক ভালো!!!
তাপস চক্রবর্তী