ফের এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল মানুষ । রবিবারের গ্রহণে সূর্যের অগ্নিবলয় দেখল দেশের কয়েকটি রাজ্যে। এদিন রাজস্থান, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডের কিছু এলাকা থেকে দেখা গেল সূর্যের অগ্নিবলয় । তবে রবিবারের সূর্যগ্রহণ বাকি ভারতে হয়েছে আংশিক, পূর্ণগ্রাস নয়।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ।এবছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হল বছরের দীর্ঘতম দিনে।রবিবার সকাল সওয়া ৯টা থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। তা চলে দুপুর ৩টে বেজে ৩ মিনিট পর্যন্ত। তবে কলকাতায় এই বলয়গ্রাস দেখা যায়নি। এ বার সূর্যের বলয়গ্রাসের পথ ভারতের উত্তর অংশের উপর দিয়ে যায়। তাই উত্তর ভারতের একাংশ থেকেই এই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে।
কলকাতায় রবিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। তাই গ্রহণ কতটা দেখা যাবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ মেঘ সরলে আংশিক গ্রহণ দেখা যায়। কিন্তু আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামায় মাত্র কয়েক মুহূর্তের জন্যই তা দেখা সম্ভব হয়। তবে সর্বত্র গ্রহণ দেখা যায়নি।
পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারের অধিকর্তা সঞ্জীব সেন জানিয়েছেন, বলয়গ্রাসে উত্তর ভারতে সূর্যের ৯৯ শতাংশ ঢাকা পড়লেও, কলকাতায় সূর্যের ৬৬ শতাংশই ঢাকা পড়ে। এ দিন কলকাতায় সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে আংশিক গ্রহণ শুরু হয়। গ্রহণ তুঙ্গে ছিল বেলা ১২টা বেজে ৩৫ মিনিটে। গ্রহণ শেষ হয় দুপুর ২টো বেজে ১৭ মিনিটে।
এর আগে, গত বছর ২৬ ডিসেম্বর আংশিক সূর্যগ্রহণ হয়েছিল কলকাতায়। সে বারও ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বলয়গ্রাস গ্রহণ চলেছিল। তবে সে বারও বলয়গ্রাস দেখার সুযোগ পায়নি কলকাতাবাসী।
এই ধরনের বলয়গ্রাস গ্রহণে সূর্যের সমান রেখায় আসার পর চাঁদের আয়তন সামান্য কম হয়। ফলে পূর্ণগ্রাসের সময় তার ছায়াবৃত্তের চারধারে আংটির মতো সূর্যরশ্মি দেখা যাচ্ছে। তবে এই আগুনের আংটি হবে ক্ষণস্থায়ী।
ভারত ছাড়াও এদিন কঙ্গো, সুদান, ইথিওপিয়া, ইয়েমেন, সৌদি আরব, ওমান, পাকিস্তান ও চিনে এই বলয়গ্রাস দেখা যায়। পরবর্তী গ্রহণ দেখার জন্য আরও ২ বছর ৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে। ২০২২-এর ২৫ অক্টোবর পরবর্তী গ্রহণ। তবে তা ভারতে তেমন দেখা যাবে না। ২০৩৪ সালে পরবর্তী পূর্ণগ্রাস গ্রহণ।