উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শ্রীনগরের পারিমপোরা এলাকায় জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার নাদিম আবরার এবং এক পাকিস্তানি জঙ্গিকে খতম করল সেনা ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। সংঘর্ষস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক এবং দু’ টি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিমপোরা এলাকার চেকপোস্টে একটি গাড়ি আটকায় যৌথ বাহিনী। সন্দেহ হওয়ায় ড্রাইভার ও পেছনের সিটে বসা দুই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। মাস্কের আড়ালে থাকা গাড়ির পিছনের সিটের ব্যক্তিই যে লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার নাদিম আবরার, তা বুঝতে দেরি হয়নি পুলিশের। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়। এরপর পুলিশ, সেনা ও সিআরপিএফ মিলে তাকে জেরা শুরু করে। আরবার জেরায় জানায়, মালোরায় একটি বাড়িতে একে ৪৭ রাইফেল রয়েছে।
আরবারকে ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়িতে ঢোকামাত্রই নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে এক পাকিস্তানি জঙ্গি। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে আহত হন ৩ সিআরপিএফ জওয়ান। বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে প্রাণ হারায় নাদিম। এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে ওই পাকিস্তানি জঙ্গিও। এমনটাই টুইটে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার। লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডার নাদিম মালোরায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা ও হত্যার একাধিক ঘটনায় যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার।
সেনাবাহিনীর লাগাতার অভিযানে উপত্যকায় বিপাকে পড়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনগুলি পাল্টা হামলা চালিয়ে এবার সদস্যদের মনোবল কিছুটা চাঙ্গা করে তুলতে চাইছে। জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জোড়া বিস্ফোরণ আসলে জেহাদিদের মরিয়াভাবকেই প্রকাশ করছে। এহেন সময়ে খোদ লস্কর কমান্ডার নিহত হওয়ায় সন্ত্রাসবাদীরা বড়সড় আঘাত পেয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।