জার্মান গুপ্তচর সংস্থার প্রধান জানালেন ইসলাম শুধু জার্মানি নয় , গোটা ইউরোপ তথা বিশ্বের এক গভীর সমস্যা।
এঞ্জেলা মের্কেলের অভিবাসন নীতির সমালোচনায় মুখর হচ্ছে জার্মান বুদ্ধিজীবীরা, কারণ তাঁদের বক্তব্য ওই নীতির ফলে জার্মানিতে ঘাঁটি গেঁড়ে বসেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত মুসলমানরা। জার্মানির রাষ্ট্রীয় আইন অবশ্য মাইগ্রেন্ট সমাজবিরোধীদের দমন করতে অনেকটাই সক্ষম, কারণ কোনো মাইগ্রেন্ট অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হলে তার রাষ্ট্রীয় অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। জার্মানি জুড়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত অভিবাসীদেরকে যথেষ্ট চাপে রাখা হয় সামাজিক ভাবে।
জার্মান গুপ্তচর সংস্থা বুন্দেস নাক রিচটেনডিশ বা বি এন ডি র প্রধান ব্রুনো কালহের নিজেও খুব সরব এই বিষয়ে। ভারতবর্ষে গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত শীর্ষ কর্তারা ইসলামিক আগ্রাসনের ব্যাপারে কখনো মুখ খুলবে সেটা আশাও করা যায় না, কিন্তু জার্মানিতে তা নয়।
সুখ্যাত গোয়েন্দা কালহের ক্রমাগত বলে যাচ্ছেন ইসলামিক মৌলবাদ তথা জিহাদি শক্তি জার্মানি তে যথেষ্ট পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেটি হয়েছে জার্মান ফেডারেল সরকারের অভিবাসন নীতির ফলেই।
সোজাসুজি কথা বলার জন্য পরিচিত ওই আধিকারিক সরকারের বিরাগভাজন হলেও এই ব্যাপারটাকে তোয়াক্কা না করেই বলেন জার্মানি তথা গোটা ইউরোপ জিহাদিদের মোকাবিলা করা এখন প্রত্যেক ইউরোপ এর দেশের একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ।
অন্যদিকে , জার্মান ইনস্টিটিউট অফ গ্লোবাল এন্ড এরিয়া স্টাডিস (GIGA) র রিসার্চ স্কলার এম এল মাসরি জানিয়েছেন যে ইসলাম এর মোকাবিলা করা শুধু জার্মানি বা ইউরোপের দায়িত্ব নয় , এটা গোটা বিশ্বের সমস্যা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা না করলে ইসলামিক আগ্রাসন রোখা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে এই GIGA র সন্ত্রাসবাদ রিসার্চের এরিক স্টোলেনওএরক এর মতে দুর্দান্ত ইকোনমিক মডেল বানিয়ে জিহাদ চালাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী তথা জিহাদি গোষ্ঠীগুলি ۔
জিহাদিরা হোটেল , ফার্মা , রিয়েল এস্টেট , ডিপার্টমেন্টাল স্টোর , এফ এম সি জি সেক্টর তথা শেয়ার বাজারে প্রচুর অর্থ লাগিয়েছে এবং এর সুফল ও পেয়েছে।
ফলে কোনো বিশেষ বিশেষ দেশ বা গোষ্ঠীরমু খাপেক্ষি নয় তারা , বরং তারা এখন স্বাবলম্বী , সবদিক দিয়ে , আর এটাই সুরক্ষায় নিয়োজিত সংস্থাগুলোর মাথা ব্যাথার কারণ।
একই সঙ্গে, নব্য-নাৎসিরা আক্রমণে উদ্যত হচ্ছে।
এরিকের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী তথা জিহাদি গোষ্ঠীগুলিদের খতম করতে গেলে প্রথমে তাদের অর্থনৈতিক ডিফেন্স ভেঙে ফেলতে হবে ,আর এর জন্য চাই সঙ্গবদ্ধ প্রচেষ্ঠা ও নিখুঁত পরিকল্পনা।
GIGA র গোপন রিপোর্ট বলছে যে আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়া এই মুহূর্তে জিহাদি আক্রমণের নিরিখে সবচেয়ে বিপদজনক অবস্থায় আছে।