করোনার (CoronaVirus) সম্ভাব্য প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রাথমিক পর্ব শেষ হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের দাবি, প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছিল। এবং প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল বেশ আশাব্যঞ্জক।
রোহতকের PGI হাসপাতালের কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালের পর্যবেক্ষক ডাঃ সবিতা বর্মা (Dr Savita Verma) সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, “প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রথম পর্বে ৫০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছিল। এদের ট্রায়ালের যে ফলাফল এসেছে তা আশাব্যঞ্জক। দ্বিতীয় পর্বের জন্য আরও ৬ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য, কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী ভারত বায়োটেক গত ১৫ জুলাইই নিজেদের তৈরি ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে। সূত্রের খবর, দেশের মোট ১২টি প্রথম সারির হাসপাতালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ‘ভ্যাকসিন’ প্রয়োগ করা হবে। এর মধ্যে ৫০ জনের শরীরে ইতিমধ্যেই তা প্রয়োগ করা হয়েছে বলে কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালের পর্যবেক্ষক ডাঃ সবিতা বর্মা জানিয়েছেন। তাঁর দাবি ফলাফলও বেশ উৎসাহব্যঞ্জক।
কোনও ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল অতিক্রম করলেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যেতে পারে। প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অর্থ, বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। ‘কোভ্যাক্সিন’ সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। এখন চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এই ট্রায়ালের প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। ভাইরোলজিস্টদের মতে, বয়স, বর্ণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্বিশেষে বহু মানুষের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হয়। মোট তিন ধাপে এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। যার প্রথম পর্যায়ের প্রথম পর্বের ফলফল কোটি কোটি ভারতবাসীর মনে আশার সঞ্চার করেছে।