ভারত ও জাপানের মধ্যে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অক্টোবরে বা নভেম্বরে করার ব্যাপারে পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। গত বছর ডিসেম্বরে গুহায়াটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো (Shinzo)আবের মধ্যে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভের জেরে তা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল।
ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতির পর এখন যদি বৈঠকটি হয় তবে অন্য মাত্রা লাভ করবে। কারণ এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি যেভাবে বেজিং বিরুদ্ধে কূটনৈতিক মহলে অগ্রসর হচ্ছে তাতে জাপানকেও নিজেদের দিকে টানতে সমর্থ হবে। এ ছাড়া পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে টোকিওয় বেজিং উপর ক্ষিপ্ত রয়েছে। এই কারণে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়াদিল্লির কাছে।
এ ছাড়া ভারত ও জাপানের এই বার্ষিক সম্মেলনে বাণিজ্য নিয়েই আলোচনা চলবে। জানা যাচ্ছে, এই সম্মেলনে দু’দেশের মধ্যে একাধিক বাণিজ্য চুক্তি হবে। চিনের উপর প্রযুক্তির দিক থেকে নির্ভরতা কমাতে জাপানের সাহায্য নেবে ভারত। তবে এই বৈঠক নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে। যদি দেশে করোনা পরিস্থিতি ঠিক হয়। তবেই জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর চূড়ান্ত করা হবে।