মিথ্যাচারিতাই কি লেফ্ট লিবাড়ালের ব্রহ্মাস্ত্র ?!
চিরাচরিত রাজনৈতিক মহলে এক আমূল পরিবর্তন এসেছিল ২০১৪ সালে যখন কেন্দ্রে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকার গড়েছিল বিজেপি। স্বাভাবিক ভাবেই বেশ কিছ্ লেফ্ট এবং “লিবারাল” মিডিয়া হাউস ও নিউজপেপার দুঃখের বহিঃপ্রকাশ করার জায়গা না পেয়ে বিভিন্ন ভাবে মোদির মানহানি করার চেষ্টা শুরু করেছিল। কিন্তু বামপন্থীদের এই চেষ্টাকে বিফল করে আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মোদি।
ডানপন্থা যখন গোটা বিশ্বে শক্তিশালী হচ্ছে তখন ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় এবং এক কট্টর হিন্দুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়াতে মতাদর্শগত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে পুরো লেফ্ট উইং।
এমতাবস্তায় রাজদীপের মত ফার লেফ্ট “জার্নালিস্ট” সহরাবুদ্দিন এনকাউন্টার নিয়ে ফেক নিউজ ছড়িয়ে ইতিমধ্যে কোর্টের চক্কর কেটেছেন, তারপরও না থেমে বুন্ডেলখণ্ডে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে যোগী সরকারের মানহানি করার চেষ্টা করেছেন।
এছাড়াও এমন বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে উত্তর প্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে সরকারকে অপমান করেছেন বহুজন।
এবারও এমনি এক ঘটনা ঘটে গেল উত্তর প্রদেশে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং অখিলেশ যাদব টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে বলেন যে গঙ্গায় উত্তর প্রদেশের সাধারণ মানুষের মৃতদেহ ভাসছে যা খেতে উদ্যত কাক, কুকুর। ইন্ডিয়া টুডের মত বড় মিডিয়া চ্যানেলও এই মিথ্যা ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের খবরের মাধ্যমে। এই মিথ্যা খবরটি স্বাভাবিক ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়াতে লেফ্ট ও লিবারাল উইং খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল করে দেয়। আম আদমী পার্টির সুশীল কুমার উত্তর একই ছবি টুইট করে উত্তর প্রদেশ সরকারের কোভিড ব্যর্থতা নিয়ে সরব হন ও এই ঘটনার নিন্দা করেন।
কিন্তু এই ছবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখা গেছে এটি আসলে ২০১৫ সালের উত্তর প্রদেশের উন্নাও জেলার। অর্থাৎ ছবিটি বা বলা যেতে পারে ঘটনাটি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সরকারের আমলের। সেই অখিলেশ যাদবই আজ এই ছবি নিয়ে টুইট করে যোগী আদিত্যনাথের তুলধনা করতে চেয়েছেন। এটা অবশ্য স্মৃতিশক্তির কুফল নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন তা উত্তর প্রদেশের মানুষ জানেন হয়তো।
ফেক নিউজ আজ নুতন না তবে এর বিরুদ্ধে যোগী সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলি প্রসংশনীয়। তাবলীগি জামাতের ফেক নিউজ হোক বা সাহবুদ্দিনের ফেক নিউজ বা কোভিড নিয়ে ফেক নিউজ হোক, যোগী সরকার এগুলোকে আটকাতে সব সময় তৎপর থেকেছে।
সাম্প্রতিক এই ছবি নিয়ে ফেক নিউজের জন্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে FIR করেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর কারণে এক IAS অফিসারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছেন যোগী সরকার।
কিন্তু বামপন্থী ও লিবারাল মিডিয়া এখনো গুজব ছড়াতে ব্যস্ত। তাতে সে ইজরায়েল- প্যালেস্টাইন কান্ড হোক বা আমেরিকার রেজাল্ট বেরোনোর পর হয়ে যাওয়া একটি ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে হোক!
হয়তো যোগীর কোভিড মোকাবিলা কেরল মডেলকে পিছনে ফেলে দেওয়া থেকে মানুষকে মুখ ঘোরানো হোক বা সামনের ২০২২ এর বিধানসভা ভোটের জন্য হোক, যোগীকে তথা উত্তর প্রদেশ সরকারের মানহানি করার কোনো সুযোগই ছাড়তে রাজি নন এই মানুষগুলি।
উত্তর প্রদেশরর আগামী বিধানসভা নির্বাচনেবিভিন্ন ভাবে মিথ্যা ছড়ানোর জন্য কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি সহ অন্যান্য দলগুলিকে উত্তর প্রদেশের সাধারণ মানুষ দেয় কিনা সেটাই দেখার।