দ্রুত বদলে যাচ্ছে টেক-সিটি হিসাবে খ্যাত বেঙ্গালুরুর জনবিন্যাস। শান্তিপূর্ন নগর হিসাবে পরিচিত বেঙ্গালুরুকে ভারতের সিলিকোন ভ্যালি ও বলা হয়, কিন্তু গত বছর নাগরিকরা চাক্ষুষ করেছেন জন জেহাদের আসল রূপ। বেঙ্গালুরু ও তার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে চলছে পরিকল্পিত মাইগ্রেশন যার জন্য রীতিমতো আতংকিত স্থানীয় ও অন্য রাজ্য থেকে ওই শহরকে আপন করে নেয়া লোকজন।
এবার বেঙ্গালুরুর থানা আক্রমণকে কেন্দ্র করে তদন্ত নেমে সাত জায়গায় হানা দিলো এন আই এ।
গত বছর ১১ ই আগস্ট একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গোটা বেঙ্গালুরু(Bengaluru) তে তান্ডব চালায় জেহাদি জনতা।
মারমুখী জনতা সাধারণ মানুষদের হেনস্থা করা ছাড়াও আক্রমণ চালায় ডি জে হাল্লি (DJ Halli) ও কে জি হাল্লি (KG Halli) র দুই পুলিশ স্টেশনে(police station)। ব্যাপক ভাংচুর চলে সেখানে , প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা, মারধর করা হয় পুলিশ কর্মীদের।
গতকাল এই বিষয়ে হওয়া মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেঙ্গালুরুর সাত জায়গায় হানা দেয় এন আই এ (NIA)।
অসংখ্য ডিভিডি(DVD) , পেন ড্রাইভ(Pen Drive) , প্রিন্টআউট(Print Out) , ভুয়ো ফেসবুক একাউন্ট (fake face book account) সহ অনেক অতিগুরুত্বপূর্ণ নথি এসেছে এন আই এর হাতে।
সূত্রের খবর , এই আক্রমণের সাথে জিহাদি(Jihadi) যোগ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে এবং এই বিষয়ে প্রচন্ড উদ্বিগ্ন কর্নাটক সরকার।
এদিকে কুখ্যাত আন্তঃরাজ্য অস্ত্র ব্যাবসায়ী আয়াজউল্লাকে গতকাল গ্রেফতার করলো বেঙ্গালুরু পুলিশ।
গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বেঙ্গালুরুর সিটি ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Bengsluru City Crime Branch) এর আধিকারিকরা এক গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করে আয়াজউল্লাকে।
শুধু আয়াজউল্লা ই নয় , এর সাথে গ্রেফতার হয়েছে সায়েদ সিরাজ আহমেদ (৪২) এবং মুহাম্মদ আলী।
আয়াজউল্লার কাছ থেকে জেরার পর জানা গিয়েছে যে সে উত্তরপ্রদেশের শ্যামলী (Shamli), পাঞ্জাব এর অমৃতসর(Amritsar) ও মহারাষ্ট্রর শিরদি থেকে অস্ত্র নিয়ে আসতো ও বিভিন্ন জায়গাতে পাচার করা হতো।
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ জানিয়েছেন আয়াজউল্লার সাথে কোনো সন্ত্রাস বা জিহাদ যোগ আছেকিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।