ভাতা-ভর্তুকি খেয়ে খেয়ে এতটাই পরনির্ভরশীল হয়ে গেছে আমাদের দেশের মানুষ যে তাস, ক্যারাম খেলে দিন কাটিয়ে দেবে তবুও কাজ কিন্তু করবে না, সব্জির দাম, সরিষার তেলের দাম বাড়ছে বলে অনেকেই চিৎকার করছে কিন্তু নিজের জমি থাকার পরও চাষ করার উদ্যোগ কেউ নিচ্ছে না তাহলে দাম বাড়বে না তো কি কমবে?

পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে? জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে?

কি চিন্তা হচ্ছে তো, যে সংসার চলবে কি করে? ঠিক এমনই চিন্তা সরকারেরও হচ্ছে যে প্রতিদিন ৭০ হাজার শিশু জন্ম হলে দেশ চলবে কি করে?

সরকার যারই থাকুক না কেন জন্মনিয়ন্ত্রন না ঠেকাতে পারলে কোনোদিনও মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে পারবে না, আমরা ৪ জনের সংসার চালাতে যদি হিমসিম খায় তাহলে একবার ভাবুন ১৪০ কোটিকে বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন, রেশন দিয়ে সরকারের কি অবস্থা হতে পারে?
১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মেরেকেটে ১০-১২ কোটি মানুষ সরকারকে ট্যাক্স দেয় আর বাকি মানুষ ট্যাক্সের টাকায় ভর্তুকি আর ভাতা নেয়, দেশটা কি বিনামূল্যে সব সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেউলিয়া করতে চাইছেন আপনারা?
দেবেন আপনার ঘরবাড়ীটা প্রতিদিন আপনাকে চিকেন বিরিয়ানী খাওয়াবো যতদিন বাঁচবেন. . . .

ভারতের মানুষের জীবনচক্রটা একটু দেখুন, বিয়ের আগে ২৫ হাজার কন্যাশ্রী, বিয়ের পর ২৫ হাজার ২৫ হাজার রুপশ্রী, প্রেগন্যান্ট হলে সরকারী হাসপাতালে আয়রন-ভিটামিন ট্যাবলেট, সন্তান প্রসবের পর ৬০০০ টাকা, শাড়ী, বিনামূল্যের অ্যাম্বুলেন্স, সন্তাব প্রসবের পর অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডিম-খিচুড়ী, সন্তানের টীকা, পোলিও বিনামূল্যে, সন্তান বড় হল সরকারী স্কুলে ভর্তি বিনামূল্যে, বইপত্র, পোষাক, ছাতা জুতো বিনামূল্যে, মিড ডে মিল বিনামূল্যে, সন্তান একচু বড় হলে হাইস্কুলে বিনামূল্যে ভর্তি, সাইকেল বিনামূল্যে, ভাতা চালু সরকারের, এরপর সেই সন্তানের বাবা-মা কে বিনামূল্যে ঘর তৈরী করে দিচ্ছে সরকার, গ্যাসের কানেকশন বিনামূল্যে,রেশন বিনামূল্যে, ইলেকট্রিক কম টাকায়, তারপর সেই সন্তানের বাবা-মা বৃদ্ধ হলে সরকারের টাকায় ভাতা-পেনশন শুরু, তারপর অসুস্থ হলে বিনামূল্যে চিকিৎসা, মারা গেলে ২০০০টাকা সৎকার্য করতে দিচ্ছে সরকার, জীবনের প্রথম দিন থেকে মৃত্যু অবধি ভারতে ৮০% মানুষ সরকারের টাকায় বেঁচে থাকে তাহলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়বে না তো কি কমবে?
একবারও কি সরকারকে প্রশ্ন করেছেন যে করোনার ভ্যাক্সিন, বিনাপয়সায় রেশন, কন্যাশ্রী-রুপশ্রী-সাইকেল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা কোথা থেকে আসছে?

বলতে লজ্জা হয়, আমাদের দেশের মানুষকে কন্ডোমটা পর্যন্ত সরকারকে দিতে হয়, এর থেকেই বুঝতে পারছেন আমরা কতটা সরকার নির্ভর. . . . .

ভাতা-ভর্তুকি খেয়ে খেয়ে এতটাই পরনির্ভরশীল হয়ে গেছে আমাদের দেশের মানুষ যে তাস, ক্যারাম খেলে দিন কাটিয়ে দেবে তবুও কাজ কিন্তু করবে না, সব্জির দাম, সরিষার তেলের দাম বাড়ছে বলে অনেকেই চিৎকার করছে কিন্তু নিজের জমি থাকার পরও চাষ করার উদ্যোগ কেউ নিচ্ছে না তাহলে দাম বাড়বে না তো কি কমবে?
মাত্র দু হাজার টাকা খরচ করে কেউ যদি সব্জি লাগায় কথা দিচ্ছি সারাবছর একটাও সব্জি বাজার থেকে কিনতে হবে না, কিন্তু এরা পরিশ্রম না করেই ৫ টাকা কেজি সব্জি খুঁজবে. . . . .

সরকারের উচিত এমন একটা আইন চালু করা যাতে কেউ বেকার বসে আড্ডা না দিতে পারে, আর কিছু না করলে তার সমস্ত সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হোক, তবেই এদের হুঁশ ফিরবে, যদি পরিশ্রম করতে মানুষ সক্ষম হয় তাহলে বিনা পুঁজিতেও সচ্ছল হওয়া যায় কিন্তু এরা চেষ্টা না করে সরকারের ভরসায় বসে থাকে. . . .

৪ জনকে যদি আপনি না টানতে পারেন তাহলে সরকার ১৪০ কোটিকে কিভাবে টানবে একবার ভাবুন তো?
ভাতা-ভর্তুকির জন্য নিজের দেশটাকে দয়া করে শেষ করবেন না, সরকার আসবে যাবে কিন্তু এই দেশটাকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে, দেশ বাঁচাতে পরিশ্রম করুন মনে রাখবেন পাঞ্জাবীরা পাকিস্তান থেকে মাথাতে শুধু পাগড়ী বেঁধেই এসেছিল আর আজ পরিশ্রম করে সফল হয়ে গোটা ভারতে বিনামূল্যে লঙ্গর চালু করেছে, ডাল ২০০ টাকা হলেও পাঞ্জাবীরা কিন্তু লঙ্গর বন্ধ করেনি আর ভবিষ্যতেও করবে না. . . . .

তেলের দাম ১০০ হলেও বাজার প্ল্যাটিনার থেকে রয়্যাল এনফিন্ডের বিক্রি কিন্তু বেশী সুতরাং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকারের সমালোচনা না করে নিজের সমালোচনা করুন যে কেন পেট্রোল কিনতে আপনার ফাটছে?

Sabyasachi Bhattacharya

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.