“করোনা সংক্রমণের #তৃতীয় পর্যায়”
এই লেখা টা লিখতাম না, যেহেতু আমাদের #ভবিষ্যত_প্রজন্ম এর সাথে জড়িত তাই লিখলাম। প্রথম বা দ্বিতীয় স্টেজের সময় জ্ঞান বিতরণ করিনি কারণ আমার #সিনিয়র রা আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্ত যা দেখলাম আপনাদের #অপদার্থতা বা #সবজান্তা মনোভাবের জন্য ওনারা ব্যর্থ হয়েছেন।
আমি যে টা নিয়ে ভয় পাচ্ছি, আমি চাই সেটাতে যেন আমি ভুল প্রমাণিত হয়। কারন এর সাথে আমার #দেশেরভবিষ্যতজড়িত। আর আমি যেহেতু মেডিকেল ফিল্ডে আছি আমি খুব ভালো করেই জানি আমাদের দেশের বাচ্চাদের চিকিৎসা বিভাগের #পরিকাঠামোর অবস্থা সব দিক থেকেই অতি #দূর্বল। যদি খুব সিরিয়াস পরিস্থিতি দেখা দেয় তাহলে তা সামলানো যাবেনা এখনও পর্যন্ত আমাদের যা পরিকাঠামোর অবস্থা তা দিয়ে।
এতদিন এই ব্যাপারটাতে আমার একটু সন্দেহ ছিল। কিন্ত মোদীজির Nasal Vaccine র কথা উল্লেখ করা এবং দেশের কিছু Activities দেখে আমার আর কোন সন্দেহ নাই। মোদীজি কিন্ত চেষ্টা করেছন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবাই কে ভ্যাক্সিনেট করতে। তাই উনি রাজ্যের থেকে দায়িত্ব নিজের উপর তুলে নিয়েছেন যাতে করে দেশের সন্তানদের বাঁচাতে পারেন।
এই ফেজ শুরু হতে চলেছে আশা করি #আগস্টসেপ্টেম্বর থেকে। সংক্রামিত হতে পারে 🔴5-8 এবং 🔴10-12 বয়সের সন্তানরা। কিছু সাধারণ সমস্যা দিয়ে শুরু হবে যেমন পাতলা পায়খানা, বমি বা জ্বর। দুই থেকে তিন দিনের মাথায় অক্সিজেন লেভেল খুব দ্রুত পরে যাবে এবং তখন তাদের ভর্তি করে চিকিৎসার মাধ্যমে #বাঁচানো মুশকিল হয়ে পরবে। বাচ্চাদের জন্য কিন্ত আমাদের হাতে ঔষধের সেরকম কোন #চয়েসনেই। যে ঔষধ বড়দের জন্য ব্যবহার হয়েছে তা বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার করা যাবেনা। ফলে আমাদের শুধু দেখা ছাড়া আর কোন উপায় এখনও পর্যন্ত নেই।
বাঁচার এখনও পর্যন্ত একটাই উপায় দেখতে পাচ্ছি তাহলো #ভ্যাক্সিন 💉। আপনার সন্তান কে বাঁচাতে পারবেন একমাত্র আপনি নিজেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান ভ্যাক্সিনের কোর্স কমপ্লিট করে এবং অন্যদের বোঝান যাতে তারাও ভ্যাক্সিন নেন। কারন মনে রাখবেন যেকোন বাচ্চা সংক্রামিত হবে তার #আশেপাশের_লোকজন দের থেকে। নাহলে পরে খারাপ কিছু হলে ডাক্তার পিঠিয়ে বা মোদীজি কে গালাগাল দিয়েও নিজের অমূল্য সম্পদ কে আর কোনদিন ফেরত পাবেন না।
সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন। 🙏