নাগরিকদের সংযম, শৃঙ্খলা ও কোভিড বিধি মেনে চলার জন্যই মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তবে একই সঙ্গে রবিবার তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাক্কাও আসতে পারে সেক্ষেত্রে এটি হবে ‘সুনামির মতো’। তাই রাজ্যবাসীকে সুরক্ষা ব্যবস্থা অবহেলা না করার জন্য সতর্ক করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, “আগে আমরা সমস্ত উত্সব সতর্কতার সঙ্গে পালন করেছি। গণেশ উৎসব হোক, বা দশেরা। এমনকি দিওয়ালিতে বাজি না ফাতানোর অনুরোধ করেছিলাম, আপনারা সেই কথা শুনেছেন। এরফলে কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “তবে আমি আপনাদের ওপরে কিছুটা রেগে রয়েছি। আমি আগেই বলেছিলাম যে দিওয়ালির পরে উপচে পড়া ভিড় হবে। এক্ষেত্রে আমি অনেক লোককে মাস্ক পড়া দেখছি না। মনে করবেন না যে কোভিড চলে গেছে। পশ্চিমী দেশ বলুন বা আহমেদাবাদ বা দিল্লি, কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভ সুনামির মতো শক্তিশালী।”
তিনি বলেন, “বেশি ভিড়ের কারণে কোভিড কিন্তু মোটেই মারা যাচ্ছে না, বরং তা আরও বাড়ছে। ভ্যাকসিন এখনও বের হয়নি, কখন বেরোবে তাও আমরা জানি না। আমরা জানি না যে এটা ডিসেম্বরেই বেরোবে কিনা, যদি বেরোয়ও, তবে মহারাষ্ট্রে তা কখন আসবে? মহারাষ্ট্রে ১২ কোটি লোক রয়েছে। ভ্যাকসিন দু’বার দেওয়া দরকার তাই আমাদের ২৫ কোটি লোকের জন্য ভ্যাকসিন লাগানো দরকার। তাই আপনারা নিজেদের যত্ন নিন।”
ঠাকরে জানাচ্ছেন, তিনি এখন মোটেই লকডাউনের পক্ষপাতী নন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “যদি আমাদের পর্যাপ্ত বেড না থাকে, আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা সংক্রামিত হয়, তবে কেউই আমাদের বাঁচাতে পারবে না। আমাদের এখনও খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমরা এখনও স্কুল খুলত পারিনি।”
সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,”দয়া করে ভিড় করবেন না, মাস্ক পড়ুন, বারে বারে হাত ধুন, কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন। এভাবেই আপনি নিরাপদে থাকতে পারেন।”