সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা কোনও মন্ত্রক থাকবে না। সামাজিক ন্যায় ও সক্ষমতা মন্ত্রকের অধীনে এটাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সূত্রের খবর, মোদী সরকার নাকি এমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এ বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
ডেকান হেরাল্ড-এ প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, মোদী সরকার চায় দেশে আলাদা করে কোনও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক থাকবে না। আর এভাবেই পূর্বের কংগ্রেস সরকারের করা ভুল শুধরে নিতে চায় মোদী সরকার।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে সামাজিক ন্যায় ও সক্ষমতা মন্ত্রক থেকে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রককে আলাদা করা হয়। সেই থেকে এই মন্ত্রক স্বাধীনভাবে কাজ করে আসছিল এবং ঐ মন্ত্রকের জন্য আলাদা ক্যাবিনেট মন্ত্রীও নিযুক্ত করা হত। বর্তমানে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন স্মৃতি ইরানি।
মোদী সরকারের অন্দরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে ডেকান হেরাল্ড লিখেছে, আলাদা করে সংখ্যালঘু মন্ত্রক রাখার কোনও প্রয়োজন নেই, এমনই মত সরকারের। সংখ্যালঘু তোষণের নীতির অংশ হিসেবে এই মন্ত্রক সৃষ্টি করেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। তাই খুব শীঘ্রই সংখ্যালঘু মন্ত্রক বিলুপ্ত করতে চায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার।
এদিকে এমন খবর আসার পরই কেন্দ্রের মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দেগেছেন একাধিক সংখ্যালঘু নেতা। সেই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য সৈয়দ নাসির হুসেন এবং জামাত-ই-ইসলামী-হিন্দ নেতা সৈয়দ তানভীর আহমেদ। তাদের দাবি, সংখ্যালঘুদের মুলস্রোতে ফেরাতে আলাদা মন্ত্রক করা হয়েছিল। কিন্তু মোদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করছে।