মঙ্গলবার হুলুস্থুল কাণ্ড জলপাইগুড়ি জল্পেশ মন্দির অঞ্চলে। জানা গিয়েছে, সেখানে মাটি ফুঁড়ে উঠে এসেছে একটি প্রাচীন শিবলিঙ্গ। এলাকাজুড়ে হইচই রব উঠেছে। এলাকাবাসীরা ও দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা সেই উদ্ধার হওয়া শিবলিঙ্গ দর্শন করতে ভিড় জমিয়েছেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জল্পেশ মন্দিরের কাছে একটি স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু করেছেন। মঙ্গলবার এই কাজের জন্যই মাটি খোঁড়া হচ্ছিল জল্পেশ মন্দিরের আশেপাশের এলাকায়। জোর কদমে শুরু হয়েছিল মাটি খোঁড়ার কাজ। মাটি খুঁড়তে গিয়েই মাটির গভীরে পুঁতে থাকা এক শিবলিঙ্গ উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, সেই শিবলিঙ্গের উচ্চতা আড়াই ফুট। চওড়াতেও ফুট দুয়েকের কাছাকাছি। ওজন দেড় কুইন্টাল মত। শিবলিঙ্গ উদ্ধার প্রসঙ্গে জল্পেশ মন্দিরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘মন্দিরের শিবলিঙ্গের সঙ্গে এই শিবলিঙ্গের যথেষ্ট মিল রয়েছে।’ জানা গিয়েছে, ওই এলাকা থেকে একটি লোহার ঘণ্টাও উদ্ধার করা হয়েছে মাটি খুঁড়ে। মাটি খোঁড়ার কাজে যুক্ত ছিলেন শিবু রায় নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, যখন ওই এলাকায় জেসিপি মেশিন দিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল, সেই সময় মাটির ভিতর থেকে অদ্ভুত একটি শব্দ হয়। তখন শিবু রায় অনুমান করেন, মাটির ভেতরে পাথরের কিছু একটা রয়েছে। ভালো করে সেই জায়গা পরিস্কার করতে ও মাটি সরিয়ে ফেলতেই বেরিয়ে আসে একটি শিবলিঙ্গ।
ঘটনাটি ঘটে, মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জল্পেশ মন্দির কমিটির সদস্যরা। পরে উদ্ধার হওয়া শিবলিঙ্গটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা তথা আইনজীবী শিব শঙ্কর দত্ত জানিয়েছেন, ‘এই শিবলিঙ্গ অনেক প্রাচীন, দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমাদের দাবি, এই শিবলিঙ্গটিকে তুলে দেওয়া হোক প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের হাতে। একইসঙ্গে এই এলাকায় আরও খননকাজ চালিয়ে যাক প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ।’ তবে সূত্র মারফত জানা গেছে, বর্তমানে শিবলিঙ্গটিকে রাখা হবে জল্পেশ মন্দিরে। সেখানে নিত্য পুজো করা হবে।
2022-04-29