সীমান্তে যাতায়াতে করোনার থাবা পড়েছে। তবে দৃষ্টিতে তো পড়েনি। তাই হাত বাড়িয়ে দেওয়া দূরত্ব থেকে বা দু পা দূরে থেকেই অপরূপা কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন। মন প্রাণ ভরে এই দৃশ্য উপভোগ করছেন বাংলাদেশের বাসিন্দারা।
কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের কারণে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় বিখ্যাত। ভারতের দার্জিলিং জেলার একেবারে লাগোয়া পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্ত। বাংলাদেশ পর্যটন দফতর জানাচ্ছে, চলতি বছর করোনার ভয় উড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ভিড় করছেন পর্যটকরা। নামছে তাপমাত্রা।
জানা গিয়েছে ভারতের কোচবিহার জেলার লাগোয়া নীলফামারি জেলা থেকেও স্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে। অনেক পর্যটক সেখানেও যাচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গত ২৯ অক্টোবর চলতি মরশুমে কাঞ্চনজঙ্ঘা প্রথম দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকে তেঁতুলিয়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার উঁচু স্থান থেকে প্রায়ই কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গ দেখেছেন স্থানীয় মানুষ। পর্যটকদের দিনভর তেঁতুলিয়ার মহানন্দার পাড়ে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি তুলতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশি ভ্রমণপিপাসুরা ভিসা করে ভারত এবং নেপালে গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেন। কিন্তু বাংলাদেশে একমাত্র কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূর্যকিরণ দেখা যায়, পঞ্চগড় এবং তেঁতুলিয়া থেকেই।