প্রথম বর্ষের স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমে ‘রামায়ণ’, ‘রামচরিতমানস’ এবং ‘মহাভারত’ মহাকাব্য অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার

নয়া শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী, প্রথম বর্ষের স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমে ‘রামায়ণ’, ‘রামচরিতমানস’ এবং ‘মহাভারত’ মহাকাব্য অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মোহন যাদব বলেন, “যদি কোনো শিক্ষার্থী ভগবান রামের চরিত্র এবং সমসাময়িক কাজ সম্পর্কে জানতে চায় সে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে তা পড়তে পারবে।” তিনি একথাও বলেন, আমাদের শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষকরা NEP ২০২০ এর অধীনে এই সিলেবাস তৈরি করেছেন।

স্কুল এবং কলেজের সিলেবাসে NEP ২০২০ প্রবর্তনকারী প্রথম রাজ্যগুলির মধ্যে মধ্যপ্রদেশ অন্যতম। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী, ‘রামচরিতমানস’ দর্শনে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে চালু করা হয়েছে। এপিএসআরের অধ্যায়ে ভারতীয় সংস্কৃতির মূল উৎসে আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্মের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে; বেদ, উপনিষদ এবং পুরাণের চার যুগ; রামায়ণ এবং শ্রী রামচরিতমানসের মধ্যে পার্থক্য; এবং ঐশ্বরিক অস্তিত্বের অবতারগ্রহণের বিভিন্ন পর্যায় পড়ানো হবে।


সি রাজাগোপালাচারি লিখিত মহাভারতকে প্রথম বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকার তৃতীয় ভিত্তিক কোর্স হিসাবে যোগ এবং ধ্যান-কে অন্তর্ভুভক্ত করেছে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের ‘রাম সেতু সেতু নির্মাণ’ বিষয়টির মাধ্যমে ভগবান রামের মধ্যে বিদ্যমান ইঞ্জিনিয়ারিং গুণাবলী শেখানো হবে।

উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী মোহন যাদব বলেছেন, “রামচরিতমানস এবং মহাভারত থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। শিক্ষার্থীরা মর্যাদা ও মূল্যবোধের সঙ্গে জীবন যাপনের জন্য এটি থেকে অনুপ্রেরণা পাবে। আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত‌ই করতে চাই না বরং আমরা তাদেরকে মহান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.