পুঁজিবাদ ও মার্ক্সবাদ ধীরে ধীরে আমাদের সমাজ-অর্থনীতি- রাজনীতির পরিচয়জ্ঞাপক শব্দ হয়ে উঠেছে। সম্ভব হলে, সমগ্র মানব সভ্যতাকেই আমরা এই দুই ভাগে ভাগ করে ফেলতাম.. এডাম স্মিথ এবং কার্ল মার্ক্স নিজেরাও হয়ত ওনাদের তত্বের এই সাফল্যের সম্ভাবনা কল্পনাও করেননি। ওনাদের তত্বদ্বয়ের সমর্থকগনের মধ্যে একটা অদ্ভুত প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ওনারা একে অপরের মতবাদের সমালোচনা করেন,কিন্তু নিজেদের মতবাদের সমালোচনা!!! নৈব নৈব চ..
পাশ্চাত্য বুদ্ধিজীবীরা যদিও তত্বগুলির বিবর্তন নিয়ে কখনো কখনো সমালোচনা করেন, কিন্তু এই মতবাদগুলির ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা এই বিষয়ে অত্যন্ত রক্ষণশীল; প্রায় মৌলবাদী বলতে পারেন। মার্কসবাদীদের কাছে তো মার্ক্স, লেনিন,স্টালিন মাও, চৌ এন লাই এই নামগুলি প্রায় ভগবানের সমতুল্য।অথচ, মার্ক্সের মতবাদের সাথে লেনিন, মাওয়ের মতাদর্শের অনেক পার্থক্য;এই পার্থক্য, ত্রুটি, রাশিয়ার ভাঙন, প্রতিটা কমিউনিস্ট দেশে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে স্বৈরাচারের উত্থান এগুলো নিয়ে কখনোই আলোচনা হয় না।কেবল কমিউনিসমের বিকল্প হিসেবে ক্যাপিতালিসমকে তুলে ধরা হয়।
স্যার এডাম স্মিথ এর ‘ওয়েলথ অফ নেশনস’ (1776) ক্যাপিতালিসম এর ভীত। যার মূলে আছে, চাহিদা ও যোগান কে সরকার অনিয়ন্ত্রিত বাজার প্রদান করা।এর ফলে, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য কম থাকবে ও শিল্পপতিরা নতুন আবিস্কারে উৎসাহ দিতে বাধ্য থাকবে।শিল্পপতিদের জন্য উন্মুক্ত বাজার তীব্র প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করবে,যা এই বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হবে। চাহিদা ও যোগানের সম্পর্ক এই ক্ষেত্রে ব্যস্তানুপাতিক। যোগান বৃদ্ধি পেলে চাহিদা হ্রাস পায়।তাই, শিল্পগোষ্ঠী গুলি সর্বদা যোগানকে নিয়ন্ত্রণ করে চাহিদা বজায় রাখে। অগাস্ট ল্যস এর ‘সর্বোচ্চ মুনাফা তত্ব’ অনুসারে কোনো মনোপলি বাজারের আকৃতি থাকে বৃত্তাকার।প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তা ষরভূজ আকৃতি ধারণ করে। এই তত্বের মূল উদ্দেশ্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন। আবার, আলফ্রেড ওয়েবার তাঁর তত্বে পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের খরচ কমিয়ে মুনাফা বৃদ্ধির কথা বলে।বলা হয়েছে একক উৎপাদন খরচ কমাতে। অর্থাৎ,সরাসরি শ্রমিক শোষণের কথা বলা হয়েছে।ক্যাপিতালিসমের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা, “সামর্থ্য অনুযায়ী শ্রম এবং পুঁজি অনুসারী উপার্জন”। এর ফলে, ধনী তার বিনিয়োগের মাধ্যমে ধনীতর হয়ে ওঠে,গরিব হয় গরিবতর।
ক্যাপিতালিসমের এই নগ্নরূপ সাম্রাজ্যবাদের ভীত। উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য গড়ে তোলা বিশাল সাম্রাজ্যগুলি গত দুটি শতাব্দী ধরে মানব সভ্যতার ভারসাম্য ধ্বংস করেছে।একই সাথে ধ্বংস করেছে আমাদের মৌলিক চিন্তার প্রবণতা। ভারতের 200 বছরের দাসত্ব আজ চিন্তনেও।অন্ধ ভাবে আমরা পাশ্চাত্য সমাজের অনুকরণ করে চলেছি।1991 এ মনমোহন সিংয়ের উদারিকরণের ফল আজ সুস্পষ্ট।পরিবার, সমাজের পরিবর্তে প্রাধান্য পাচ্ছে ভোগবাদ। আজ প্রত্যেকের প্রতিটি ভোগ্যপণ্য চাই।তারজন্য চাই টাকা।সেই বিপুল টাকা উপার্জন করতে গিয়ে, বলি দেওয়া হচ্ছে নৈতিকতা, পারিবারিক জীবন, অবসর সময়,সামাজিক জীবন। অথচ, ‘টাকা স্বর্গ, টাকা ধর্ম, টাকা হি পরমম তপঃ’ মন্ত্র ভারতীয় সংস্কৃতিতে কখনোই প্রাধান্য পায়নি। বরং, বরাবর অর্থবান বৈশ্য সম্প্রদায়ের তুলনায়, জ্ঞানতাপস ব্রাহ্মণরা অনেকবেশি মর্যাদা পেয়ে এসেছে, গুরুত্ব পেয়েছে সামাজিক পরিসর।
গ্রাম থেকে শহর, শহরতলিতে ভিড় জমাচ্ছে পরিযায়ীরা। CSDS সমীক্ষা বলছে, কৃষি থেকে উপার্জন তুলনামূলক কম হওয়াই এই পরিব্রাজনের কারণ। ফলে, গ্রামগুলি ধীরে ধীরে কর্মীশুন্য হচ্ছে। ভেঙে পরছে গ্রামীন আর্থ সামাজিক কাঠামো। পাশ্চাত্য জীবনের মোহে শহরে ছুটে আসা লোকেরা কিছু অদ্ভুত সমস্যার সম্মুখীন। অর্থের পিছনে ছুটতে গিয়ে, এখানে কোনো সামাজিক পরিমন্ডলই গড়ে ওঠেনি। প্রতিটি মানুষকে পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন করার এই প্রক্রিয়াকে একটা শব্দেই কেবল ব্যাখ্যা করা যায়,’ALIENIZATION’। প্রতিবেশী, সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে, ছোট্ট ছোট্ট ফ্ল্যাটে একেকটি পরিবার সারাজীবন কাটিয়ে দেয়।’বাস্তু’ অর্থ বাসস্থান, ‘তন্ত্র’ অর্থ system বা ব্যবস্থাপনা। মানুষ ছোটবেলা থেকে যেখানে বাস করে, সেখানের বাস্তুতন্ত্রের অংশ হয়ে যায়। পরিবার, বন্ধু বান্ধব, প্রতিবেশী চেনা আধাচেনা মুখগুলো এমন একটি মানসিক মিথস্ক্রিয়া তৈরি করে, যা মানুষকে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অক্সিজেন যোগায়। এই পরিবেশ একটা শিশুর বৌদ্ধিক(IQ), নৈতিক(MQ), আবেগিক(EQ), সামাজিক(SQ), শারীরিক(PQ)র বিকাশের সহায়ক। ফ্ল্যাটের সমাজবিচ্ছিন্ন জীবন, একটি শিশুর মানসিক বিকাশকে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। কোনো প্রাণীকে, তার স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্র থেকে স্থানান্তর করলে, সে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে! সুন্দরবনের দক্ষিণ রায়, কানহার অরণ্যে বাঁচতে পারবে? তবে, একটা মানুষ, তার স্বাভাবিক পরিবেশ ছেড়ে অন্য পরিবেশে গিয়ে কিভাবে স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, সমাজের প্রয়োজন মেটাতে হাউজিং কমপেক্সগুলোতে গড়ে ওঠে ‘society’। কিন্তু, একটি সমাজকে গড়ে উঠতে কয়েকশো বছর থেকে কয়েক হাজার বছর সময় লাগতে পারে। তা রাতারাতি গড়ে তোলার ভাবনা, চূড়ান্ত হাস্যকর।
ক্যাপিতালিসম বলুন, বা কমিউনিসম, এই পাশ্চাত্য ঘরানার চিন্তাবিদদের মধ্যে কিন্তু একটা অদ্ভুত দাম্ভিকতা আছে!!! ওনারা প্রানপনে বিশ্বাস করেন,এবং করান সমগ্র পৃথিবীর প্রতিটা সমাজ ও অর্থনৈতিক বিবরণ এই দুই চেনা রাস্তার একটাই ধরবে। অথচ, ক্যাপিতালিসম 1776 এর এবং কমিউনিসম 1867র তত্ব। এত পুরানো এই তত্ত্ব দুটোর উপর তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের এতই অন্ধবিশ্বাস যে মানব সভ্যতার 10000 বছরের সমাজ বিবর্তনের ধারাকেও স্বীকার করতে চান না। এই কারণেই, ভলতেয়ার কোনো ‘ism’এর পক্ষপাতী ছিলেন না। যে কোনো ‘ism’ই এক প্রকার অন্ধবিশ্বাস, একটা ‘closed system’। আপনার নতুন চিন্তাধারা যেখানে রুদ্ধ, তা কিভাবে প্রগতিশীল হতে পারে? কার্ল মার্ক্স যদি প্রথমেই ক্যাপিতালিসম কে অনুসরণ করতেন, তবে কি আমরা মার্ক্সবাদ পেতাম? তাই, কোনো ‘ism’এর বাঁধনে বাঁধা না থেকে, চিন্তা হোক মুক্ত।কারণ, কোনো তত্বই দীর্ঘমেয়াদে সফল হতে পারে না।
পৃথিবীর প্রতিটা সমাজের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে।আছে সমাজ বিবর্তনের পৃথক পৃথক ইতিহাস।সম্পদের পরিমাণও সমান নয়। তবে,আমরা তাদের একটি বা দুটি তত্বের মধ্যে কিভাবে বাঁধবো?কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষে সারা পৃথিবীতে একই ব্যবস্থা প্রবর্তন সম্ভব? ‘একটু ভেবে বলুন তো!এটা কি মানা যায়?’ হ্যা।কেউ তখনই সারা পৃথিবীতে একই ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য চেষ্টা করবে, যদি সেই ব্যবস্থা থেকে নির্দিষ্ট কিছু মানুষ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়। যেমন, gatt চুক্তি, WTOপ্রভৃতির মাধ্যমে G-8,G-20 দেশগুলো লাভবান হয়েছে। বর্তমানে, বিশ্বজুড়ে LPG র ঢেউ চলছে।Liberalization, Privatization & globalization..।কিন্তু, এগুলোর মাধ্যমে লাভটা কার হচ্ছে? ছোট ছোট গরিব দেশগুলোর বাজার বড় বড় মুনাফা হাঙ্গরদের কাছে উন্মুক্ত হয়ে গেছে।ব্রিটানিয়া, নেসলে, হেড এন্ড সোল্ডার এর মত বহুজাতিক সংস্থাগুলোও গরিবতম মানুষটিকেও তাদের উপভোক্তা বানিয়ে ছেড়েছে।আমেরিকা, চীনের মত বড় দেশগুলো ছোট দেশগুলোর কূটনৈতিক নিয়ন্ত্রকে পরিণত হয়েছে।সুতরাং, কিছু বুদ্ধিজীবীকে বলতেই হবে, ক্যাপিতালিসম ও বিশ্বায়ন ছাড়া উন্নয়ন অসম্ভব; নইলে,এই শোষণ প্রবাহ থেমে যাবে যে! আবার, ইউরোপের কমিউনিসম যখন আফ্রিকার মাটিতে সম্পদের সম বন্টনের কথা বলে,তখন তা আদতে দারিদ্রের সম বন্টন তত্বে পরিণত হয়।
তবে, বিকল্প কী?বিকল্পর খোঁজে আমাদের মানব সভ্যতার ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছিল চারটি উৎস বিন্দু থেকে:1) টাইগ্রিস- ইউফ্রেটিস দোয়াব অঞ্চল, 2) নীলনদ অববাহিকা, 3)সিন্ধু- সরস্বতী দোয়াব অঞ্চল,4) হোয়াংহো অববাহিকা। কোনো সভ্যতার বিবর্তনের জন্যই কোনো ‘ism’ এর প্রয়োজন হয় নি।প্রতিটি সভ্যতাই স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে ভাস্কর। এরা হাজার হাজার বছর ধরে বিবর্তিত হলেও কখনো পরিবেশের ক্ষতি করেনি। বরং পরিবেশকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে বিবর্তিত হয়েছে। অর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে কেবল অবস্থা- সময়- সম্পদের ভারসাম্য অনুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই প্রক্রিয়াকে আপনারা কী বলবেন? কোন ‘ism’ এ এই প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আসলে, অর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট সর্বদা পরিবর্তনশীল। কোনো মতবাদেই তাকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। পৃথিবী ব্যাপী মতবাদের প্রয়োগ একেবারেই অসম্ভব।স্থান কালের সাপেক্ষে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণই একমাত্র অর্থ সামাজিক পথ।আমরা তো এখন সবকিছুই তত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করতে অভ্যস্ত!চাইলে, আমরা এই পথকে ‘গতিশীল ভারসাম্য তত্ব’ বলতে পারি।
একটা প্রশ্ন করি, যদি USA ক্যাপিতালিসম এবং রাশিয়া, চীন কমিউনিসমকে অনুসরণ না করত, তবে পৃথিবী কি এই বাণিজ্যিক আগ্রাসন দেখতে পেত? ইতিহাস বলে, চীন অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়,সমৃদ্ধ দেশ। কিন্তু, বর্তমানে আমরা যে চৈনিক আগ্রাসন দেখতে পাই, তা কেবলমাত্র কমিউনিস্ট আগ্রাসন।আর, ক্যাপিতালিস্ট আগ্রাসন আমাদের 2টি বিশ্বযুদ্ধ সহ দানবীয় টেকনোলজি উপহার দিয়েছে।আপনারা বলবেন, সাথে উন্নয়নের তীব্র গতিও দিয়েছে। কিন্তু, আমার প্রশ্ন, পৃথিবীর সসীম সম্পদ দিয়ে অসীম গ্রোথের আকাঙ্খা কি আমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক? এছাড়াও প্রশ্ন ওঠে, এই গ্রোথের সুফল কি তাদের কাছে পৌঁছয়, যাদের কাছে পৌঁছানো উচিত? নাকি, সুফলটা কেবল জেফ বেজস, বাফেট, আম্বানি, জ্যাক মা দের জন্য তোলা থাকে? মেক্সিকোর চিন্তাবিদ ইভান ইলিচ প্রশ্ন তুলেছিলেন,” What kind of development is this?” ,যেখানে উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষ পর্য্যন্ত পৌঁছায় না! উন্নয়নের কোনো দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যও নেই। অথচ, সোচ্চারে রয়েছে “উন্নয়ন”। এই উন্নয়ন, প্রতিটা কারখানায় সস্তা শ্রমিকের যোগান নিশ্চিত করেছে; তাতে গ্রামগুলো শুন্য হয়ে যাক, কিছু এসে যায় না। ক্যাপিতালিসম শহরে রেখেছে ভোগের প্রাচুর্য। যা pull factor হিসেবে গ্রাম থেকে শ্রমিক তুলে আনছে। ফলে, দিনাজপুর, নদীয়ার গ্রামগুলোর ছেলেদের পাওয়া যায় মুম্বাই, গুজরাটের কারখানায়। গ্রামীন সামাজিক পরিবেশ হয় বিপর্যস্ত। গ্রামগুলোকে নিঃস্ব করে কারখানার সস্তা শ্রমিকের যোগানের এই প্রক্রিয়া বন্ধ হোক। এই উন্নয়নের ধাক্কায় আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক জীবন, অবসর সময় সব হারিয়েছি।
তীব্র ভোগবাদ আমাদের জীবনের লক্ষ্যই বানিয়ে দিয়েছে অর্থ উপার্জন, বিপুল অর্থ উপার্জন। এমনকি কারোর সাফল্যও অর্থের দাঁড়িপাল্লায় মাপতে শিখেছি। সাফল্যের শেষ কথা দাঁড়িয়েছে, সে কত উপার্জন করে! কোথাও গিয়ে এই প্রবণতায় লাগাম পরাতে হবে। আর,সেটা সম্ভব সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমেই। ফিরে আসুক ,1991 এর আগের সামাজিক পরিমণ্ডল। ভারত ফিরুক, ভারতীয় পরিবেশে। পাড়া, গ্রাম গুলোতে ফিরুক পুরানো সামাজিক পরিমণ্ডল। করোনা পরবর্তী অর্থনীতির হাল ধরুক পঞ্চায়েত ভিত্তিক শিল্পায়ন। একটি মানুষকেও যেন পরিযায়ী শ্রমিক না হতে হয়।ক্যাপিতালিসম বা কমিউনিসম কে ছুড়ে ফেলে আমাদের অগ্রগতি হোক, আমাদের পথেই। সবাই কে সাথে নিয়েই। তাতে গ্রোথ রেট না হয় একটু কমই রইল..
সুমন চক্রবর্তী