তিনি ২০০৩-২০০৮ সাল পর্যন্ত সিপিআইএমের হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির পদ সামলেছেন।
পরিবারিক সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পরিবারের লোকজনের দাবি, সোমবার সকালে বাড়ির ছাদে নিজের পিস্তল দিয়ে নিজের বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গুলির শব্দ শুনে বাড়ির ছাদে পরিবারের লোকজনেরা গেলে সামসুজবাবুকে মাটিতে লুটিয়ে থাকতে দেখেন
এরপরই তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় হরিরামপুর থানায়। পুলিস পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। তবে প্রশ্ন উঠে আসছে একাধিক। কারও হুমকির জেরেই কি এই আত্মহত্যা? নাকি পারিবারিক অশান্তি মিটিয়ে দিয়েছিল বাঁচার ইচ্ছা? কীসেরই বা মানসিক চিন্তা ছিল সবটা নিয়েই ধোঁয়াশা। রহস্যভেদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে পুলিসের তদন্ত শেষের উপর।
হরিরামপুর বিধানসভার প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সামসুজ্জামান হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি হিসেবে সন্মানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। বয়স ও পারিবারিক কিছু কারণে বেশ কিছুদিন থেকেই তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দলের অনেক বড় ক্ষতি হল।
হরিরামপুর থানার আইসি অভিষেক তালুকদার জানিয়েছেন নিজের দোনলা বন্দুক দিয়ে বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সোনাহান গ্রামের শামসুজ্জামান নামের এক প্রৌঢ়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শামসুজ্জামানের ব্যবহার করা বন্দুকটির বৈধ কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত
সংগৃহীত