চাকরির নামে ঘর মোছার কাজ, ‘নীচু জাত’ বলে অপমান! মন্ত্রী হুমায়ুনের বিরুদ্ধে থানায় আদিবাসী তরুণী

কারিগরি শিক্ষা দফতরে অস্থায়ী চাকরি দেওয়ার নামে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করাতেন রাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। এমনই অভিযোগ তুলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন সবিতা লায়েক নামের এক আদিবাসী তরুণী। শুধু চাকরির নামে প্রতারণা নয়, মন্ত্রী তাঁকে ‘নীচু জাত’ বলে অপমান করত বলেও থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি।

অভিযোগকারীর দাবি, তাঁকে দিয়ে ঘড় ঝাঁট দেওয়া, মোছানো, কাপড় ধোয়া, কুকুরের মল পরিষ্কারের মতো কাজ করানো হত। কিছু ভুল ত্রুটি হলে তাঁকে জাত তুলে অপমান করতেন, গালি দিতেন মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী। এদিকে কারিগরি শিক্ষা দফতরের থেকে প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে ঢুকত বেতনের টাকা। এভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর একদিন সবিতাকে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

পরে ২০২১ সালের ১০ অগস্ট তাঁর কাছে চিঠি আসে কারিগরি শিক্ষা দফতর থেকে। তাতে লেখা, সবিতা নাকি স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন। এরপর বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করেন সবিতা। তবে তাঁকে আর কাজে বহাল করা হয়নি। এই আবহে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, রাজ্যপাল ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি।

হুমায়ুনও ওই তরুণীকে বাড়িতে রাখার কথা মানছেন। তবে তাঁর দাবি, মেয়েটি তাঁর বাড়ির অফিসে ব্যক্তিগত সহায়ক (পিএ) হিসাবে ছিলেন। পরিচারিকার কাজ তাঁকে দিয়ে করানো হত না। এক বছর কাজ করলে তাঁকে নিয়োগপত্রও দেওয়া হত। এই আবহে তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক শত্রুতা চরিতার্থ করতেই এহেন মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.