গত দূর্গা পূজাতে সারা বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে চলে হিন্দুদের উপর অকথ্য অত্যাচার। লুঠ, খুন , গণধর্ষণ মন্দির ভাঙা , মূর্তি ভাঙা , মণ্ডপ ভাঙা থেকে শুরু করে হিন্দু গণ হত্যা , কোনো কিছুই বাধ যায়নি , জেহাদিদের সব সাধই পূর্ণ হয়েছে।
তবে এতে তারা মোটেই ক্ষান্ত নয় , বরং তারা এবার নজর ঘোরালো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু খ্রীষ্টানদের দিকে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হিন্দু ও খ্রীষ্টান সমাজকে শিক্ষিত সমাজ বলে গণ্য করা হয় আর এদের উপরে পরিকল্পনামাফিক আক্রমণ চলছেই।
বাংলাদেশে চার্চ (Church) ভাঙা কোনো নতুন ঘটনা নয়, তবে এবার চট্টগ্রাম (Chottogram/Chittagong) অঞ্চলে যে কটি খ্রীষ্টান পরিবার আছে , তাদের উৎখাত করতে বদ্ধ পরিকর জিহাদিরা।
বাংলাদেশে খ্রীষ্টান জনসংখ্যা এক শতাংশও নয় , ফলে হিন্দুরা বা হিন্দু সংগঠনগুলি খ্রীষ্টানদের সব প্রকার সহায়তা করে ও সুরক্ষা দেয় খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের। কেন খৃষ্টানদের সাথে হিন্দুদের সম্পর্ক ভালো ও কেন খৃষ্টানরা সহায়তা পায় বা খ্রীষ্টানরা সহায়তা নেয় হিন্দুদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য , এই মর্মে মুসলিমদের একটা চাপা রাগ ও ক্ষোভ আছে খ্রীষ্টানদের উপর। এরই এবার প্রতিফলন ঘটছে এখন।
যেমন ধরা যাক চট্টগ্রামের ডগলাস অ্যান্ড্রু রদ্রিগেস (Doglous Andrew Rodrigues) পরিবার।ডগলাসের মতে স্থানীয় মুসলিমরা হিন্দুদের মতো বৌদ্ধ ও খৃষ্টানদেরও শত্রুদের চোখে দেখে। তার অভিযোগ জাকির হোসাইন নামক এক জিহাদির মদতেই তাঁকে তার পূর্ব পুরুষের ভিটে থেকে উৎখাত করে দেওয়া হয়েছে , কেড়ে নেওয়া হয়েছে জমি , বাড়ি ইত্যাদি ۔ শুধু ডগলাসের পরিবার নয় , এলাকার যে কটি খ্রীষ্টান পরিবার এখনো টিকে আছে তাদেরও ওই একই অবস্থা।
জেহাদিরা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়ায় ও বলতে থাকে যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র , তাই এইখানে মুসলিম ছাড়া হিন্দু , বৌদ্ধ , খ্রীষ্টানদের কোনো স্থান নেই।
এই মতো অবস্থায় অমুসলিম হয়ে বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম রাষ্ট্রে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে উঠেছে বলে মত ডগলাস সহ বাংলাদেশের খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের।