তালিবানি সংস্কৃতির ছায়া দেখা যাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। কেরালার ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ( Indian Union Muslim League, Kerala) তাদের অনেক মহিলা কর্মীদের সাসপেন্ড করলো। তাদের একটাই অপরাধ তারা পুরুষ কর্মীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন পার্টির অন্দরেই।
মুসলিম লীগ প্রথাগত ভাবেই কোনো কোনো নারী কর্মীর দ্বারা পুরুষ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নেয়না, তা ইসলামের রীতি ও নীতি মেনেই। এবারও তার কোনো ব্যতিক্রম হলোনা।
মহিলা কর্মীরা নিজের পার্টিতে সুবিচার না পেয়ে দ্বারস্থ হয়েছে কেরালার রাজ্য মহিলা কমিশনার এর কাছে ( State Women’s Commission)।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর অবশ্য আর সাসপেনশন এই ব্যাপারটা সীমাবদ্ধ থাকবেনা , ব্যাপারটা সরাসরি গড়িয়ে যাবে বহিষ্কারের দিকে।
তালিবান (Taliban) ভাবধারায় অণুপ্রাণিত ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ আফগানিস্তানে তালিবান বিজয় খুব ধুমধাম করে উদযাপন করেছিল , কেরালার বামফ্রন্ট সরকারের বদান্যতায় , করোনা বিধিকে তোয়াক্কা না করেই।
তাই সেই দলে নারী কর্মীর দ্বারা পুরুষ কর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিঃসন্দেহ অমার্জনীয় অপরাধ।
এদিকে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগের অন্যতম বড়ো নেতা পি সালামের বক্তব্য, “মুসলিম কর্মীরা পার্টির গাইড লাইন মানছেনা, মাঝেমধ্যেই শরিয়ত বিরোধী কাজ করে ফেলছেন।ইসলামের অবমাননা কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায়না , তাই ওদের শাস্তি প্রাপ্যই ছিল।”
গোটা ব্যাপারটা মুসলিম লীগের নিজস্ব সমস্যা ও পার্টির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে এড়িয়ে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগের অন্যতম সহযোগী বামফ্রন্ট।