কুমিল্লার ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেলো সিলেটে, মন্দিরে কোরান রেখে দুরভিসন্ধিমূলক প্রচার চালিয়ে হিন্দু হত্যার পরিকল্পনা করছিলো জেহাদি যুবক, অবশেষে ধরা পড়লো, প্রশ্ন হলো কতদিন চলবে ছুঁতো খুঁজে হিন্দু হত্যা ?

দূর্গা পুজোর সময় কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ে পুজো মণ্ডপে হনুমানের পায়ে কোরান রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দু হত্যা, সম্পত্তি লুঠ ও ধর্মীয়স্থান আক্রমণের তান্ডব লীলা দেখলো বাংলাদেশ। হিন্দু হত্যা লীলা চালাতে পারে পুজোকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটতে পারে এই তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আগে থেকে থাকলেও সরকার সে বিষয়ে মাথা ঘামায় নি বলে অভিযোগ ও ওঠে।

সিসিটিভিতে দেখা যায় ইকবাল নাম এক জেহাদি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই কাজটি করেছিল হিন্দু নিধনে উস্কানি দেয়ার জন্য।

এবার এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেলো। হবিগঞ্জের চৌধুরী বাজার সার্বজনীন পুজো মণ্ডপে দুরভিসন্ধি নিয়ে একই কাজ করতে যায় এক মুসলিম যুবক। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটের সময় মন্দিরে কোরান রাখার সময় তাকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। প্রাথমিকভাবে তার বাড়ি নোয়াখালী বলে সে জানায় ।
উলেখ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ও বিভিন্ন ভাবে কোরান অবমাননার ভুয়ো অভিযোগকে হাতিয়ার করে বাংলাদেশে হিন্দু উৎপীড়িনের ছুঁতো খোঁজা বাংলাদেশে এই নিত্যনৈমিত্যিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দুদের নাম ভুয়ো ফেসবুক খুলে ওই একাউন্ট থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে হিন্দুদের উপর ক্রমাগত আক্রমণ সংগঠিত হয়ে চলেছে।
আওয়ামী লীগ জামাতের ঘাড়ে দশ চাপিয়ে নিস্তার পেতে চাইলেও সম্প্রতি ঘটে ঘটনাগুলোতে দেখা যাচ্ছে হাসিনার দলের নেতা মন্ত্রীদের নেতৃত্বে হিন্দুদের উপর সংগঠিত হচ্ছে আক্রমণ।
বাংলাদেশ কি খুব দ্রুত গতিতে হিন্দু হিন্দু শুন্য হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে? পরিসংখ্যান কিন্তু হিন্দুদের যথেষ্টই বিব্রত করার মতো।

বাংলাদেশে দ্রুত গতিতে কমছে হিন্দু জনসংখ্যা
উলেখ্য, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি, কিন্তু হিন্দুদের ক্ষেত্রে তা হয়নি। বাংলাদেশের নামকরা সংবাদ পত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হিন্দুদের সংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ কমেছে। বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যার ক্ষেত্রে এই হার মোটামুটি একই আছে।

১৯৭৪ সালে ঘটিত দেশের প্রথম আদমশুমারি অনুযায়ী হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১৩.৫ শতাংশ। এরপর আরও চারটি আদমশুমারি হয়েছে এবং সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারিতে দেখা গেছে দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হিন্দু। অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি মদতে জোর করে ধর্মান্তকরণ ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে হিন্দুদের দেশছাড়া করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বক্তব্য যে শুধু নিছক অভিযোগ নয় তার প্রমান পাওয়া যায় বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনা করলে। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ক্রমবর্ধমান হিন্দু হত্যা লীলার গতি প্রকৃতি প্রযালোচনা করলে তা বেরিয়ে যায় বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.