মুসলিমদের পাশাপাশি বিশাল সংখ্যক হিন্দুরাও যেতেন। মাথা ঠুকে আসতেন আজমের দরগায়। চড়াতেন চাদর। কিন্তু আচমকাই আজমের দরগার ‘ব্যবসায়’ টান। হিন্দুরা আর যাচ্ছে না বললেই চলে। এমনই রিপোর্ট করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, নূপুর শর্মার মুণ্ডু কাটার ফতোয়া জারি করেছিলেন দরগার বেশ কয়েকজন খাদিম। তারপর থেকেই আজমেরে যাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন হিন্দুরা।
শুক্রবার জুম্মাবার। এই দিন আজমের দরগায় ঠাই ধারণের জায়গা থাকে না। অথচ গত শুক্রবার ছিল শুনসান। শুধু কয়েকজন সুফি মাজার দর্শন করতে এসেছিলেন। টিকি দেখা যায়নি কোনও হিন্দুর। প্রতিবেদনে এমনই জানিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। একইসঙ্গে ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহু হোটেলের বুকিং বাতিল করে দিয়েছে হিন্দুরা। পরিবহণ এবং স্থানীয় খাবারের দোকানগুলি অন্যান্য শুক্রবারের তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ রোজগার করেছে।
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন এখানকার খাদিম সৈয়দ আইনুদ্দিন চিস্তি। তাঁর কথায়, ‘আজমেরের অর্থনীতি চালিত হয় ভক্তদের দ্বারা। তাঁরা প্রতিদিন শহরে আসেন। কেনাকাটা করেন। তাছাড়া শুক্রবার আজমেরে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। কিন্তু এবার এসব দেখা যায়নি’।
‘নূপুর শর্মার গলা কেটে আনলেই পুরস্কার’। এমন ঘৃণ্য মন্তব্যের কারণেই হিন্দুরা মাজারে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন জান্নাত গ্রুপ অফ হোটেলের মালিক রিয়াজ খান। তাঁর কথায়, ‘বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের জন্যই দর্শনার্থীরা আজমের দরগা এড়িয়ে যাচ্ছেন’। এখানেই না থেমে তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি আজমের দরগা এবং তৎসংলগ্ন বাজারের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। উদয়পুরের ঘটনার পর থেকেই এখানে লোক আসা কমে যায়। এমনকী ‘ছটি’ (চান্দ্র ক্যালেন্ডারের ষষ্ঠ দিন)-র শুভ দিনেও হোটেলগুলো ফাঁকা ছিল’।