উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। এটার পরে তৃণমূলের এক মুখপাত্র অত্যান্ত নিষ্পাপ মনে তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন যে বিরোধীরা চায়না যে নিয়োগ হোক, এবং নিয়োগ আটকানোর জন্য বিরোধীরা বারবার হাইকোর্টে গিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করিয়ে দেয়।
কি কিউট তাইনা ?
উল্টো প্রশ্ন কেন করতে পারেনা? প্রতিবার এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি কেন হয়? হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী এবার ইন্টারভিউ লিস্ট কেন প্রকাশ করা হয়নি? ইন্টারভিউ লিস্টে প্রার্থীদের প্রাপ্ত নাম্বার দেওয়ার কথা ছিল। সেটা কোথায়?
48, 49, 50, 56 বছর বয়সী লোকজন কিভাবে ইন্টারভিউতে ডাক পায় ? 2016 সালে যে ছাত্রের বয়স 18 বছর ছিল সেই কিভাবে ইন্টারভিউতে ডাক পায়? 18 বছর বয়সে B.Ed হয়ে গেছিল?
এই প্রশ্নগুলো করুক। এই গুলোর উত্তর দিতে নিশ্চয়ই লজ্জা হয় , তাই না?
যোগ্য ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য 2016 থেকে বসে আছে। নতুন নোটিফিকেশন এর কথা বাদই দিলাম। সেটা কবে হবে স্বয়ং ভগবানও জানে না।
আচ্ছা হাইকোর্ট তো এমনি এমনি স্থগিতাদেশ দেয় না, দুর্নীতি আছে বলেই দেয়। এই দুর্নীতি থামানোর কোন ব্যবস্থা তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার করেনা কেন?
পরেরবার যদি কেউ বলে মামলা হচ্ছে বলে নিয়োগ সম্ভব হয়নি তাহলে প্রশ্ন করবেন মামলা কেন হয়? প্রশ্ন করবেন দুর্নীতি কেন হয়? প্রশ্ন করবেন এত বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ সম্ভব হয় না কেন?
- Tarunjyoti Tewari