পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের পাশে দাঁড়ালেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যা ঘটেছে এবং সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল যে ভূমিকা নিয়েছেন তাকে মানবিক কর্তব্য বলেছেন তথাগত বাবু। তথাগত রায়ের মতে, রাজ্যপাল জগদীপ যে ভুমিকা নিয়েছেন ওই দিন, তা নিয়ে তৃণমূল যা খুশী বলতে পারে। তৃণমূল বলতেই পারে সূর্য পশ্চিমদিকে ওঠে পূর্বদিকে অস্ত যায়।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে পুজো উদ্বোধন করতে এসে ‘তথাগত রায় তৃণমূলকে যেমন কটাক্ষ করেছেন, তেমনই তিনি বামপন্থী ছাত্রদের নাম না করে ‘ অনাচারী এবং ফ্যাসিস্ট বলে বিধেছেন।
তথাগত বাবু বলেছেন, যাদবপুরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল যে ভুমিকা নিয়েছেন তা মানবিক, যথাযথ। তথাগতবাবু যদি নিজে ও জায়গায় থাকতেন তবে একই কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ।
সেদিনের ঘটনা নিয়ে মেঘালয়ের রাজ্যপাল জানান, যাদবপুরে একজনের জীবন সংশয় হয়েছিল। তিনি বিনা কারণে ফ্যাসিস্টদের সম্মুখীন হন, এক মহিলাকে গায়ে হাত দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছিল, রাজ্যপালকে মানবিক কারণেই যেতে হয়েছিল।
যাদবপুরের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের ভূমিকার প্রশংসা করে তাঁর পাশেই শুধু দাঁড়ানি রাজ্যপাল, বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ জানান।
যাদবপুরের প্রাক্তন অধ্যাপক হিসেবে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভেতরে অনাচার এবং অত্যাচারের ঘটনায় ব্যথিত তিনি। ওইদিন ছাত্র দের ভূমিকার নিন্দাও করেছেন তথাগত।
এন আর সি এবং উদ্বাস্তু নিয়ে তাঁর তত্ত্বে অটল থেকে তথাগত বাবু রাষ্ট্র সঙ্ঘের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করে উদ্বাস্তু কী তার ব্যাখ্যা করে বলেন, শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া যেকোনো দেশের আশু কর্তব্য যদি না তাঁরা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদের কারণ হয়ে ওঠে ।
রোহিঙ্গা রা বাংলাদেশের বিপদের কারণ হয়েছে , এদেশে তারা জায়গা কি করে পেতে পারে , অকপট তথাগত। রোহিঙ্গা দের মধ্যে উগ্রপন্থী আছে বলে মনে করেন তথাগতবাবু।
বাংলায় চাকরি নেই তাই বাঙালি ছেলে মেয়েদের হিন্দি শিখে লাভ আছে। হিন্দি ভাষা না শিখলে ভুগতে হবে , আর এ কারনেই তিনি হিন্দি ভাষার সপক্ষে টুইট করেছেন বলে জানান তথাগত রায়।