সিপিএম বিধায়ক তথা বাম জমানার দাপুটে মন্ত্রী আনিসুর রহমানের আমন্ত্রণে মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ তবে এবারও রাজ্য সরকারের থেকে হেলিকপ্টার চেয়ে তিনি পাননি বলে রাজভবন থেকে প্রেস বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছে৷
১৫ নভেম্বর একটি কলেজের অনুষ্ঠানে মুর্শিদাবাদ গিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ সেবারই হেলিকপ্টার নিয়ে তাঁর প্রথম সংঘাত বাঁধে রাজ্য সরকারের সঙ্গে৷ সেবার নবান্ন তাঁকে হেলিকপ্টার না দেওয়ায় ৬০০ কিমি রাস্তা সড়কপথেই গিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷
এ দিন দুপুরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রাজভবন জানিয়েছে, বুধবার সকাল ছ’টায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সড়কপথে ডোমকলের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ডোমকল গার্লস কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন তিনি, জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। তার পরের লাইনেই বলা হয়েছে, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক আনিসুর রহমান নিমন্ত্রণ করেছেন রাজ্যপালকে।
২৮ বছর ধরে ডোমকলের বিধায়ক আনিসুর রহমান। ১৯৯১ সালে প্রথম বার ওই কেন্দ্র থেকে জেতেন এই সিপিএম নেতা। এখনও পর্যন্ত তিনিই বিধায়ক। ১৯৯১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটানা ২০ বছর পশ্চিমবঙ্গের প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী ছিলেন। গত আট বছরের তৃণমূল জমানায় রাজ্যের প্রায় সর্বত্র বামদুর্গ ধূলিসাৎ হয়ে গেলেও ডোমকল বিধানসভা কেন্দ্রে দলের গড় এখনও টিকিয়ে রেখেছেন আনিসুর। স্থানীয় কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধনে সেই আনিসুর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আমন্ত্রণ জানানোয় রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরে চমক তৈরি হয়েছে।
বলে রাখি, ধনখড়ের মুখে তৃণমূল বা রাজ্য সরকারের সমালোচনা শুনে বামেরা খুশি হলেও খুব বেশি উচ্ছ্বাস তারা প্রকাশ করছেন না। বরং রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকার, উভয়ের ভূমিকারই সমালোচনা শোনা যাচ্ছে তাদের মুখে। তবে আনিসুর রহমান সে পথে হাঁটেননি৷
এব্যাপারে তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল হলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওই পদের বিরোধী হতেই পারি। কিন্তু ওই পদ তুলে দিতে হলে তো সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। যত দিন না সংবিধান পরিবর্তন করে ওই পদ তুলে দেওয়া হচ্ছে, তত দিন রাজ্যপালকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে মানতেই হবে।’’