নয়ের দশকে কাশ্মীরে ‘রালিভ গালিভ চালিভ’ স্লোগান তুলে ঘরছাড়া করা হয়েছিল হিন্দু পণ্ডিতদের। ভিটেমাটি ছেড়ে প্রায় ৩ লাখ পণ্ডিত রাতারাতি নিজের দেশেই উদ্বাস্তু হয়ে যান। ছড়িয়ে পড়েন ভারতের অন্যান্য রাজ্যে। এবার সেই সব হিন্দু পণ্ডিতদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করল মোদী সরকার।
বুধবার রাজ্যসভায় ওই কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। জিরো আওয়ারে এক প্রশ্নের উত্তরে রাই বলেন, কাশ্মীরে ৬১০ জন তাঁদের সম্পত্তি ফেরত চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তাদের সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হয়েছে। উদ্বাস্তুদের সম্পত্তির রক্ষক জেলাশাসকরা। তাঁদের অভিযোগ শুনতে একটি পোর্টাল খোলা হয়েছে। যদি অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে সম্পত্তি ফেরত পাবেন অভিযোগকারীরা।
১৯৯০ সালে যেখানে তিন-ছ’ লক্ষ হিন্দু বসবাস করত ভূস্বর্গে। সেখানে ২০১৬র হিসেবে সংখ্যাটা মাত্র ২-৩হাজার৷ অভিযোগ, ইসলামপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী তথা মৌলবাদীরা ১৯৯০ সালে তাদের তাড়িয়ে দেয়৷ এর মধ্যে ১৯ জানুয়ারি তারিখটিকে হলোকাস্ট ডে হিসেবেও স্মরণ করা হয়। তারপর অবশ্য পেরিয়ে গিয়েছে তিন দশকেরও বেশি সময়৷ কেউ কথা রাখেনি, সরকার এসেছে, ভেঙেছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুঃখ ঘোচানোর চেষ্টা করেনি কেউই৷ এবার উদ্যোগ নিল মোদী সরকার।
স্বাভাবিকভাবেই এই উদ্যোগে খুশি বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি বলেন, ‘এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানাই। ৩১ বছর ধরে হিন্দু হওয়ার জন্য পথের ভিখিরি হতে হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, যাতে এই উদ্যোগ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়৷’