পাঁঠা কাটার অস্ত্র তিনি অনায়াসে স্বজাতিকে রক্ষা করতে পারেন। হ্যাঁ, এটাই বাঙালীর বিশেষত্ব

মহম্মদ আলি জিন্নাহর ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’র আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে, ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্ট সংগঠিত গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর রিপোর্ট করতে গিয়ে তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারের একটি মিলিটারি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, The trouble started early on the morning of the 16th and both sites were equally responsible. The Hindus started putting up barricades at Tala Bridge and Belgachia Bridge and other places to prevent Muslims processions coming into the town and Muslims goondas went round forcing Hindus to close their shops। মানে, দাঙ্গার জন্যে নাকি হিন্দু-মুসলমান, উভয়েই দায়ী ছিল। এরকম সিদ্ধান্তের কারণ হলো মুসলমান গুন্ডারা যখন হিন্দুদের দোকান বন্ধ করতে করতে এগিয়ে আসছিল তখন তাদের প্রতিহত করার জন্যে টাল ব্রিজ, বেলগাছিয়া ব্রিজ সহ অন্যান্য স্থানে হিন্দুরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।

মানে, সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে, হিন্দুদের উচিত ছিল বিনা প্রতিরোধে, জেহাদিদের কাছে নিজেদের যথাসর্বস্ব সঁপে দেয়া। এই দাঙ্গার দুই মাস পরে, নোয়াখালীতে যখন হিন্দুদের উপর জেহাদিরা আক্রমণ করেছিল তখনও বানিয়া গান্ধী বলেছিল যে “হিন্দু রমণীদের দাঁতে দাঁত চেপে ধর্ষণের জ্বালা সহ্য করা উচিত”। এই কথাগুলো খুব চেনা চেনা লাগছে কি? আজ্ঞে হ্যাঁ, এই তত্ত্ব মেনেই, আজও পুলিশকে লাথি মারার পরেও বাড়িতে রেশন পৌছে যায় আর তেলেনিপাড়ার ঘটনায়, স্থানীয় পুলিশ কর্তা, হুমায়ুন কবীরের অপদার্থতা প্রকাশ করার জন্যে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সম্প্রীতি রক্ষা করার জন্যেই মহরমের জন্যে দুর্গাপূজার বিসর্জন স্থগিত হয়ে যায়। সম্প্রীতির স্বার্থেই রবি, রুদ্রেশ, কমলেশ তিওয়ারিরা খুন হয়ে যায় কিন্তু NIA-এর দাবী মেনে PFI কে নিষিদ্ধ করা হয়না। সম্প্রীতির কারণেই জমজমের পানি আনার জন্যে বিমানের নিরাপত্তা বিধি বদলানো হয় আর কুম্ভমেলার সময় ভারতীয় রেল টিকিটের উপর অতিরিক্ত সারচার্জ নেয়।

সৌভাগ্যক্রমে, গোপাল পাঁঠা বানিয়া ছিলেননা আর স্বজাতির আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে, সেকুলার সাজার দায়ও তাঁর ছিলনা। তাই বানিয়া গান্ধী তাঁকে অস্ত্র সমর্পণের কথা বললে, মা কালীর ভক্ত বঙ্গসন্তান সেটা প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। পাঁঠা কাটার অস্ত্র তিনি অনায়াসে স্বজাতিকে রক্ষা করতে পারেন। হ্যাঁ, এটাই বাঙালীর বিশেষত্ব, তারা যেমন বুক দিয়ে আগলে রাখতে পারে, প্রয়োজন হলে বুকে চেপে বসে দাড়ি উপড়ে ফেলতেও পারে। যে কাঠায় মাপ, সে কাঠায় শোধ দেয়ার মানসিকতা বাঙালীর রক্তে রয়েছে।

জয় মা কালী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.