…কুমিল্লা পুজা মণ্ডপে হনুমান মূর্তির কোলে পাওয়া ডার্ক গ্রীন কালারের কোরআনটি বাংলাদেশে প্রিন্ট করা হয়নি, সৌদি আরব থেকে আনা, জানালো বাংলাদেশ পুলিশ।
…একেবারেই নতুন এই কোরআনটির প্রিন্টিং পেপার, ডিজাইন ও আরবি ক্যালিগ্রাফি বিশ্লেষণ করে পুলিশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি সৌদি আরবের।
…ফয়েজ নামের যে মুসলিম ব্যক্তিটি ঘটনাস্থল থেকে ফেসবুকে প্রথম লাইভে এসে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল, ধারণা করা হচ্ছে এটি তার ব্যক্তিগত কোরআন।
…কুমিল্লা সদরের আমড়াতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা ফয়েজ ১ বছর আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে কুমিল্লা শহরে একটি মোবাইল সার্ভিসের দোকান দেয়। ঘটনার দিন সকাল ছয়টা নাগাদ ফয়েজ আশপাশের মুসলিমদের মণ্ডপে এনে জড়ো করে। তার সাথে থাকা একরাম হোসেন নামের আরেকজন মুসলিম ৯৯৯ কল করে পুলিশকে নিজের ভুয়া পরিচয় দিয়ে জানায় যে পূজা মণ্ডপে মূর্তির পায়ে কোরআন পাওয়া গেছে।
…ওই পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুবোধ রায় জানান, আমরা ধর্মগ্রন্থটি দেখিনি, হঠাৎ দুজন যুবক উত্তেজিত হয়ে চিৎকার শুরু করে ”পূজা মণ্ডপে কোরআন পাওয়া গেছে, পূজা মণ্ডপে কোরআন পাওয়া গেছে।”
…পুজা মণ্ডপের বিপরীতে নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিং এর সিকিউরিটি গার্ড মোক্তার হোসেইন বলেন, সকাল ৭ টা থেকে আমার ডিউটি ছিল। হট্টগোল শুনেই আমি সেখানে যাই। একেবারে শুরু থেকেই ফয়েজ নামের ব্যক্তিটির আচরণ সন্দেহজনক ছিল। তিনি ওসিকেও কোরআন উদ্ধারে বাঁধা দিয়েছেন। বারবার ফেসবুক লাইভে গিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছিলেন।
…ফয়েজ ও একরাম দুজনেই বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে। কোরআনের উপর ফিঙ্গারপ্রিন্টগুলোরও তদন্ত হচ্ছে। আশা করি খুব শীঘ্রই পুরো ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।
…#SaveBangladeshiHindus