একাধিক বিষয় নিয়ে সংসদে বিজেপি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে বিরোধীরা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) দেড় ঘন্টার ভাষণের মধ্যেও স্লোগানের ঝড় তোলে বিরোধী পক্ষ। পুরো ঘটনায় বেজায় চটেছেন নমোও। বিপক্ষকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গরীব মানুষের রুটি-রুজির জন্য কাজ করেছি আমরা।’
রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করতেই বিরোধীদের স্লোগান শুরু হয়। ‘মোদি-আদানি ভাই ভাই’ স্লোগান ছিল বিরোধীদের। হট্টগোলের মধ্যেই নিজের বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সংসদে কিছু মানুষের ব্যবহার দেশের মানুষের কাছে হতাশাজনক। যতই আমাকে কাদা ছোঁড়া হবে পদ্ম ততই প্রস্ফুটিত হবে’। এরপরই কংগ্রেসকে নিশানা করে নমো বলেন, ‘আমাদের বিরোধীরা বলেছেন বুনিয়াদ তাঁরা তৈরি করেছেন। কংগ্রেস বলছে ৬০ বছর ধরে তাঁরা দেশের বুনিয়াদ তৈরি করেছে’। ‘ কিন্তু ২০১৪-এ এসে আমরা দেখলাম শুধু বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে’।এদিন কংগ্রেসকে তোপ দেগে মোদি বলেন, ‘তখন তো পঞ্চায়েত থেকে সংসদ সর্বত্রই ওঁরা ক্ষমতায় ছিলেন’। ‘ কিন্তু কোনও সমস্যার সমাধানেরই চেষ্টা কখনও করেননি’। সারা দেশের মানুষ সমস্যায় জর্জরিত ছিল। কিন্তু শাসকের গুরুত্ব, উদ্দেশ্য সবই আলাদা ছিল’। ‘তাই সমস্যার সমাধানের চেষ্টাই করেনি’।এর পরই প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে বিজেপি সরকারের সাফল্যের কথা। তিনি বলেন, ‘আমরা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করি’। আগে সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কের দরজা পর্যন্ত যেতে পারতেন না। আমরা জন-ধন প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে ব্যাঙ্কের সরাসরি যোগ হয়েছে। সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কের গ্রাহক হয়েছেন। গরিব মানুষ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিতে পারছেন।’নমো এদিন ইডি-সিবিআইয়ের (CBI) অপব্যবহার প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ না খুলেও বিরোধী শিবিরকে তোপ দেগে বলেন, সরাসরি, ‘আমি ভেবেছিলাম ভোটের ফলাফল সব বিরোধীদের একজোট করবে। কিন্তু ইডিকে ধন্যবাদ জানাতে হবে। ইডির জন্যই সব বিরোধী দল একত্রিত হয়ে গিয়েছে।’ এরপরই কংগ্রেসকে (Congress) তীব্র আক্রমণ করে মোদি বলেন,’ সেনা এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে লাগাতার টার্গেট করছে ওরা। এসব করে দেশকে ছোট করার চেষ্টা করছে।’