করোনাভাইরাসে (coronavirus) যে শিশুদের বাবা এবং মা, দুজনেই মারা গিয়েছেন (orphans), তাদের দায়িত্ব নিল কেন্দ্রীয় সরকার। পিএম কেয়ার্স (PM CARES ) তহবিল থেকে তাদের মাসিক ভাতা জন্য লেখাপড়ার জন্য সাহায্য করা হবে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে৷
শুক্রবার করোনায় বাবা-মা হারানো শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট৷ কেন্দ্রকে অনাথ শিশুদের দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বড় ঘোষণা করল মোদী সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছে, যে সব শিশুর বাবা-মা দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে, তাদের ১৮ বছর বয়স হলেই পরের পাঁচ বছর পর্যন্ত তারা মাসিক ভাতা পাবে। ২৩ বছর বয়স হলে তারা এককালীন ১০ লক্ষ টাকা পাবে৷ আরও জানানো হয়, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তারা কেন্দ্রের আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পের আওতায় পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবে । বিমার প্রিমিয়ামের টাকাও দেবে কেন্দ্র।
শুধু তাই নয়, এই শিশুদের বিনামূল্যে পড়াশোনার ব্যবস্থাও করা হবে৷ দশ বছরের নীচে যাদের বয়স তাদের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হবে৷ অথবা বেসরকারি স্কুলে পড়লে যাবতীয় খরচ বহন করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকেই৷ এছাড়া, এই শিশুরা বড় হওয়ার পর তাদের উচ্চশিক্ষার জন্যেও বিনা সুদে শিক্ষা ঋণের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতই আমাদের কাছে প্রধানঃ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী
শনিবারই সমস্ত রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে শিশু সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে যে সব শিশুরা মা- দু’জনকেই হারিয়েছে, তাদের তথ্য দ্রুত পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে৷ নথিভুক্ত শিশুদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে দিকে নজর রাখবে কমিশন।
এদিন ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘করোনায় বাবা-মাকে হারানো শিশুদের খেয়াল রাখবে সরকার৷ তাদের জন্য সম্মানজনক জীবনের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেবে৷ পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে এই শিশুদের পড়াশোনা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে৷’
প্পসঙ্গত, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছিলেন, দেশের প্রায় ৫৭৭ জন শিশু গত দুমাসে করোনায় মা-বাবা দুজনকেই হারিয়েছে। সেদিনই কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানান, অভিভাবকহীন শিশুদের আত্মীয়দের বাড়িতে থাকার পরিস্থিতি রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। সেই সুবিধা না থাকলে তাদের হোমে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।