সবরকম সতর্কতা থাকা সত্বেও করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্রমশ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ৯০ লক্ষ ছাড়িয়েছে এক সপ্তাহে। তাই ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন কিছু নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যগুলিকে কী কী নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক:
কনটেনমেন্ট জোনে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার কাজে ছাড় দেওয়া হবে।
কনটেনমেন্ট জোনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালানো হবে। কোথায় কত আক্রান্ত তা দেখতে বিশেষ দল তৈরি করতে হবে।
কিছু কিছু কঠোর নিয়ম জারি করতে হবে যেমন – রাত্রিকালীন কার্ফু (নাইট কার্ফু)। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আগে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে কোনও ধরনের লকডাউনের ঘোষণা করতে পারবে না কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
করোনা সুরক্ষা বিধি পালনের জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে রাজ্য। কঠোরভাবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মত বিষয়গুলির উপর নজর দেওয়া হচ্ছে।
জনসমক্ষে বা কর্মস্থলে কেউ মাস্ক না পরলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি। প্রয়োজনে জরিমানাও ধার্য করতে পারে।
বাজার, হাট, গণ পরিবহনের মতো ভিড়ের জায়গায় সামাজিক দূরত্বের বিধি পালনের জন্য শীঘ্রই একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হবে।
যে শহরগুলিতে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সেখানে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে অফিসের সময় রাখা যেতে পারে। অর্থাৎ কয়েকজন কর্মীকে সকাল ন’টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অফিস করতে হল। কয়েকজন বেলা ১২ টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অফিস থাকতে পারেন।